সাবেক এমপি শিমুলের দুর্নীতির তদন্ত শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, কানাডায় বাড়ী ক্রয়সহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচার এবং কানাডায় বাড়ী ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ শাখার প্রধান আখতারুল ইসলাম বলেন, শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। শিমুলের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নিয়ে কমিশন তাঁর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিমুলের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডায় বাড়ি কেনার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগে গত ১৫ আগস্ট শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
শফিকুল ইসলাম শিমুল ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১৮ ও ২০২৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হন। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য মতে, কানাডার টরন্টোর নিকটবর্তী স্কারবরো শহরে তার নামে একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। শিমুল সংসদ সদস্য হওয়ার পরই স্ত্রীর নামে নাটোরে জান্নাতি প্যালেস নামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেন।
শিমুলের দুর্নীতি অনুসন্ধান ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন এদিন সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ সংসদ সদস্যসহ ২৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।