নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিহিংসার অপপ্রচারে ভীত নই: কাউন্সিলর যুবরাজ
বেশ কিছু দিন যাবত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পদবাণিজ্যের নিউজে উত্তর সিটির কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজের নামে নানা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ পরিবেশন করে চরিত্র হননের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবী করেছেন উত্তর সিটির ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ। আজ (৬ জুলাই) শনিবার কাউন্সিলরের নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি বাণিজ্যের নিউজে একটি পক্ষ আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা এবং রাজনৈতিক ভাবে বির্তকিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রকাশিত সংবাদগুলোতে আমাকে জড়িয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার বা দেশের কোন সংস্থা এর প্রমাণ দিতে পারবেন না। যে সমস্ত অন্যায় বা অপরাধ আমি করি না, তা আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার নোংরা রাজনৈতিক খেলার তীব্র নিন্দা জানাই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি পক্ষ রাজনৈতিক ভাবে সামনে না এসে ভাড়া করা মিডিয়া দিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মিনিমাম নীতিমালা অনুযায়ী আমার বিরুদ্ধে কিছু লিখতে হলে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাকে জড়িয়ে নানা কাল্পনিক গল্প লিখলেও আমার কোন বক্তব্য প্রচারের প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেনি সংশ্লিষ্টরা। এটা সত্যিই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।
নিজের বৈধ আয়ের বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বৃহত্তর উত্তরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাজলক্ষ্মী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এবং সরকারের প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হিসেবে কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে জীবনে কখনো জড়িত ছিলাম, ভবিষ্যতেও এসবের দরকার পড়বে না। আল্লাহর ইচ্ছায় কর্মক্ষেত্রে আমি একজন স্বফল মানুষ।
পরিবারের বিএনপির রাজনীতির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়াত হাসিম চেয়ারম্যানের ছেলে প্রয়াত জাহিদুল হাসান বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির একটি কাগজ এডিট করে আমার বাবাসহ কয়েকজন আওয়ামী পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে বিএনপি বানিয়ে অপপ্রচার চালায়, যা তৎকালীন বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজে তা ভুয়া বলে প্রত্যয়ন করেছেন এবং লিখিতভাবে এডিট করা কাজটিকে ভুয়া হিসেবে বিবৃতি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা কালে মারা যাওয়ায় আমি বা আমরা কোন আইনগত ব্যবস্থায় যাইনি। সেই পুরনো মিথ্যাকে নতুনভাবে সাজিয়ে ফায়দা হাসিল করতে তৎপর একটি পক্ষ। যা মহানগরসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভালোভাবেই অবগত।
তার মতে, মুলত সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রাসঙ্গিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই না করেই চরিত্র হননের ঘৃন্য নেশায় নেমেছে প্রতিপক্ষরা। এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডায় তিনি মোটেও বিচলিত নয়। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারকে আমি আইনগত ভাবে মোকাবেলা করবো,ইনশাআল্লাহ।