সোহাগ আহমেদ, যাত্রাবাড়ী
যুবলীগের সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ
দেশের মানুষ পশ্চিমাদের ওই সমস্ত অবিচার মেনে নিবে না: পরশ
দেশের মানুষ পশ্চিমাদের অন্যায়, অবিচার মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ এখন আর এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ভয় পায় না। আমরা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। শত জলোচ্ছ্বাস বন্যা সমস্ত কিছু মোকাবেলা করে বাংলাদেশের মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। তাই মানুষ প্রদত্ত এই সমস্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞাকে এ দেশের মানুষ ভয় পায় না। বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিমাদের ওই সমস্ত অন্যায়, অবিচার মেনে নিবে না।’
রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলি থানা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ পরশ। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭টি ওয়ার্ড (৪৭, ৫১-৫৪, ৬০ ও ৬১) নিয়ে গঠিত শ্যামপুর ও কদমতলী থানা। এই দুই থানা সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি সৈয়দ আহমেদ। সম্মেলনে দুইটি থানার ৭টি ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
- রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী থানা যুবলীগের সম্মেলন।
- সম্মেলনে দুটি থাকার ৭টি ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
বক্তব্যে আমেরিকার উদ্দেশ্য শেখ ফজলে পরশ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন পরনে কাপড় নেই, তখন আপনারা খবর নেন নাই। বাংলাদেশের মানুষ যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের থেকে বঞ্চিত, তখন তারা নিষেধাজ্ঞা দেয় না। বাংলাদেশের মানুষ যখন দুর্ভিক্ষে জর্জরিত, তখন তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মাঝ সমুদ্র থেকে খাদ্যের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মার্কিনিরা এমন সময় নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, যখন এ দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এমন সময়, যখন এ দেশের জঙ্গিবাদকে নির্মূল করে এই অঞ্চলকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। যুবলীগের নেতৃত্বের মাধ্যমে, তাদের কর্মের মাধ্যমে এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, ‘দেশের অগ্রগতিতে দুটো জিনিস অন্তরায় এক বিএনপি-জামাত; আর সবচেয়ে বড় শত্রু, আমাদের নিজেদের ভেতর আত্মকলহ। আগামী জানুয়ারি নির্বাচনে যদি আমাদের পা পিছলে যায়, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমরা হারব না, আমরা নিজেদের কাছে হারব। অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও আবু মুনির মোহাম্মদ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিস মিয়া শেখ সাগর।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা। বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী ও কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা।
সম্মেলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মন, শ্রম ও কর্ম সংস্থানবিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ।
পিডিএস/আরডি