চাঁদপুর প্রতিনিধি
যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ফের কারাগারে চেয়ারম্যান
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় যুবলীগ কর্মী মোবারক হত্যা মামলায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি ওই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে আদালতে হাজির হয়ে বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে মতলব উত্তরের আমলি আদালতের জামিন আবেদন করেন।
তবে আদালতে বিচারক নাজমুল হাসান চৌধুরী তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই মামলায় আড়াই মাস কারাগারে ছিলেন মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর।
এর আগে ১৭ জুন উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন (৪৮) নিহত হন। ওই ঘটনায় মোবারকের ভাই আমির হোসেন কালু বাদী হয়ে মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নামে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ১৮ জুন সকালে মিজানকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান মিজান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সেলিম মিয়া জানান, মোবারক হত্যা মামলায় আসামি মিজানের উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর জামিন স্থগিতাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কপি চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের খবরে মামলার নির্ধারিত তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর আসামি মিজান আদালতে হাজির হননি। পরে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে মিজান, কাজী মতিন ও কাজী হাবিব জামিন পেলে ওই দিনই মামলার বাদী ও নিহত বাবু'র ভাই আমির হোসেন কালু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত মিজানকে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সেলিম মিয়া ও আল আমিন উজ্জ্বল জানান, উচ্চ আদালতে তথ্য গোপন করে মিজান জামিনে বের হয়েছিল। তারা বাবু হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
পিডিএস/আরডি