খাগড়াছড়ির সাংগঠনিক কাজ শেষে ফেরার পথে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তিন নেত্রীকে ‘অপহরণের পর মুক্তির’ ঘটনায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে পাহাড়ের তিন সংগঠন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ওই কর্মসূচি পালন করে।

বিকেলে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে অবস্থিত ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নারাঙহিয়া হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার ঘুরে স্বনির্ভর বাজারে এসে শেষে হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ধর্ষক ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির প্রতীকি কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির সাজেক থেকে ফেরা পথে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমাসহ আরো দুই নেত্রীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে।

সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি মিথুন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি শাখার সহসভাপতি লিটন চাকমা। এছাড়া ‘অপহরণের পর মুক্তি’ পাওয়া এন্টি চাকমাও সমাবেশে বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, একটি বিশেষ মহল পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দীঘিনালা থেকে এন্টি চাকমাসহ দুই ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনাও তারই অংশ। এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রাঙামাটির কুদুকছড়ি থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও সদস্য দয়া সোনা চাকমাকে অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়ার এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে।

বক্তারা বলেন, এন্টি চাকমাদের অপহরণের ঘটনার দুই দিন অতিক্রান্ত হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এভাবে পার পেয়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করছে।

অপহরণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এন্টি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের অপহরণ করা হয়েছে।

পিডিএস/আরডি