ভ্রমণ পাসে দেশে ফিরতে পারেন সালাহউদ্দিন
প্রায় আট বছর ধরে ভারতে আটকে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যাপারে মতামত দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি নেতা দেশে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। এবার তিনি দেশে ফিরতে চান।
সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও এ ব্যাপারে সায় আছে। হাইকমিশন থেকে অনুমোদন পেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সালাহউদ্দিন আহমেদ জার্মানভিত্তিক ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি দেশে ফিরতে ইতোমধ্যে ট্রাভেল পাসের জন্য অনুমতি চেয়েছেন। সেটা পেলে তিনি দেশে আসবেন।
তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। দেশে ফিরে কারাগারে যাওয়া লাগতে পারে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে দেশে ফিরি, পরে সেটা দেখা যাবে।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে সেখানে অনুপ্রবেশের মামলা হয়। মামলা চলাকালে এত বছর ধরে তিনি শিলংয়েই আছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় দিয়েছে শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ। ফলে তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
পিডিএস/এমএইউ