নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জুন, ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া

বাজেট জনবান্ধব নয় : জি এম কাদের

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের মেটাল গেটে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে আছে এমন বাস্তবতায় যে, রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে, তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীন ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। ডাইরেক্ট ট্যাক্সের পাশাপাশি সব কিছুতেই ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলবে। এ বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে, তা এ বাজেটে নেই। এ বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এ বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এ বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিল তাই বেশি ছিল। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া যেত না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি ও বিদেশি ঋণ নির্ভর ছিল, এটা এখন আরো বেড়েছে। তিনি বলেন, পরিচালন ব্যয় খুব সহজভাবে ব্যয় করা যাবে। যেখানে-সেখানে ব্যয় করা যাবে নিয়ে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে। উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। উন্নয়ন করে জনগণকে দেখানোর ট্যান্ডেন্সি (প্রবণতা) অনেক কম। অর্থ দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি হতে পারে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে, তাতে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জাতীয় পার্টি,জি এম কাদের
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close