reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ মে, ২০২৩

গাজীপুরে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ দেখানোর চেষ্টায় সরকার: আমির খসরু

ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ দেখাতে সরকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। এ নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। সেখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করেছে। সেই চেষ্টার ফলাফল আমরা দেখে ফেলেছি। এটা বাংলাদেশের আসল চিত্র।

শুক্রবার (২৬ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ছাড়া যেসকল ব্যক্তি নির্বাচনকে আলোচনায় আনতে চাচ্ছে তারা এই সরকারের পক্ষে কাজ করছে। এই ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারের পক্ষে কাজ করছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তারপরে নির্বাচনের আলোচনা আসবে। অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যতীত এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দলবাজদের প্রভাব এত বেশি হয়েছে যে সাধারণ সাংবাদিক, প্রফেশনাল সাংবাদিকদের স্পেস সীমিত হয়ে গেছে। দলবাজরা নির্লজ্জভাবে তৈল মর্দন করায় সাংবাদিকদের বদনাম হচ্ছে। কিছু সাংবাদিকদের জন্য সমস্ত সাংবাদিককে কলঙ্ক বহন করতে হচ্ছে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনারা কতটুকু সাংবাদিকতা করতে পারছেন তা আপনাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। আজকে সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ বিদেশে অবস্থান করছে, তারা দেশে থাকতে পারছে না। তারা দেশ ছেড়ে চলে গেছে। দুবাই, লন্ডন আমেরিকা যেখানেই যান সাংবাদিকদের দেখা যায়। আবার অনেকে চাকরি হারিয়েছেন।

সাংবাদিকতার মানদণ্ড ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্মান ফিরিয়ে না আনলে আপনারা স্বাধীন সাংবাদিকতার বিশ্ব মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া, সাংবাদিকদের অবদান ছাড়া গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনটাই অর্জন করা সম্ভব নয়।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সাংবাদিকরা হাতে হাত মিলিয়ে চলার কথা। একটি পক্ষ আলাদা হয়ে গেলে স্বাভাবিক রাজনৈতিক এবং সাংবাদিকতার পরিবেশ স্বাভাবিক থাকবে না বাংলাদেশে। সেটাই এখন বাংলাদেশে হচ্ছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং সেন্সরশিপ চালু হচ্ছে। দেশের মানুষের আশা ভরসা তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। কিন্তু তারা আজকে কোনও সুযোগ পাচ্ছে না।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, আবুল কালাম আজাদ, ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিএনপি,গাজীপুর নির্বাচন,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,সরকার,আ.লীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close