আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে ঠেকানো ও শেখ হাসিনা সরকারকে হটাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আবারও তৎপর হয়েছে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং তা কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। তাই বিএনপিকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্বাচনে এক নেতা ব্যালট চুরি করতে গেছেন। ব্যালট চুরি করে নির্বাচনে জিতবে, এজন্য সকালে আদালতে হামলা করেছেন। ভোটকে পণ্ড করতে বার বার আদালতে হামলা করছেন। ফখরুল সাহেব, আপনারা ধরা পড়ে গেছেন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন, নির্বাচন খুব দূরের বিষয় নয়। নির্বাচন আমাদের মূল বিষয়। নির্বাচন ঠেকাতে অনেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটলে আওয়ামী লীগ দায়ী থাকবে। তার মানে বিএনপি খারাপ কিছু করতে চায়। তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটানোর ভয় দেখি লাভ নেই। এটা ২০১৩-১৪ নয়, জনগণ এখন ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। আজকে বাংলাদেশের এমন কোনো ঐক্যবদ্ধ দল নেই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে।

যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

পিডিএসও/এমএ