বদরুল আলম মজুমদার

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

উত্তরা আ.লীগের শান্তি সমাবেশ নেতারা খুশি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় গত ২০ নভেম্বর একটি শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে বৃহত্তর উত্তরা আওয়ামী লীগ। দলটির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে ভাবে রাস্তায় নেমে আসে তাতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা খুশি। বিশেষ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের নেতৃত্বে রাজধানীর এ এলাকার আওয়ামী লীগ এখন অন্য যে কোনো সময়ের থেকেও বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবারের শান্তি সমাবেশে।

জানা গেছে, গত রোববারে উত্তরার শান্তি সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের ৫ জন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে এসে নেতারা এতটাই খুশি হয়েছেন, যার আলোচনা এখন পার্টির সর্বোচ্চ পর্যায়ে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা এক ঘরোয়া আলোচনায় এ নিয়ে স্থানীয় এমপি হাবিব হাসানের ভুয়সী প্রসংশাও করেন। বিশেষ করে সমাবেশে এসে ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে উত্তরার ৬টি থানার এ সমাবেশকে সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সঙ্গে তুলনা করেন। লোকসংখ্যার উপস্থিতির দিক থেকে শান্তি সমাবেশটি সম্প্রতি ঢাকার বড় সমাবেশগুলোর মতোই একটি। উত্তরা আওয়ামী লীগের এ সমাবেশটি এমন একটি সময় সংগঠিত হয়েছে, যখন বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী ১০ ডিসেম্ভর বড় সমাবেশ আয়োজনের তোড়জোড় চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরার এ সমাবেশটিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ ঢাকার অন্যতম প্রবেশ পথ হিসেবে এ আসনে শক্তিশালী সংগঠনের গুরুত্ব সবসময় ছিল। বিশেষ করে বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে প্রবেশ পথে সরকারী দলের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করার চিন্তা রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক সংবাদও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই ১০ ডিসেম্ভরকে সামনে রেখে উত্তরার এ সমাবেশ বেশ গুরুত্ব পায়। দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় ৫ নেতার উপস্থিতিও তাই প্রমাণ করে। আর এ সুযোগে উত্তরা আওয়ামী লীগের সক্ষমতাও যাচাই করে নিলো কেন্দ্র।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের সমাবেশটি বেশ কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রাম সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী রূপে দেখতে চাইছে সবাই। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য গত দুই বছরে নেতাকর্মীদের উজ্জিবিত রেখে যে ভাবে দলকে প্রস্তুত করেছেন তার একটি রিহার্সেলও হয়ে গেল। সমাবেশটি স্থানীয় বিএনপির জন্যও একটি বিশেষ বার্তা বহন করে বলে মত দেন তারা। বিশেষ করে বিএনপির হয়ে যারা এ অঞ্চলে কাজ করেন তারাও শক্তিশালী একটি বার্তা এ সমাবেশের মাধ্যমে পেয়ে গেছে।

স্থানীয়দের মতে, একজন দক্ষ সংগঠক এবং কর্মী দরদী নেতা হিসেবে হাবিব হাসানও নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। এতে ভবিষ্যত রাজনীতিতে তার গুরুত্ব আরো বাড়বে বলে মত অনেকের। তার নির্দেশনায় স্থানীয় পদ প্রত্যাশী নেতারা যেভাবে রং বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ আসছেন, যা সমাবেশকে আরো উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়ক হয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজধানী,উত্তরা,আ.লীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close