তাজুল ইসলাম, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ)
জিয়ার প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি বলেছেন, জিয়ার প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডে সুবিধাভোগি জিয়াউর রহমানসহ যারা জড়িত আছে সেই সত্য উদঘাটন করে জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকার একটি কমিশন করবে, সেই কমিশনের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে কারা এর সাথে (বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে) জড়িত আছে।
তিনি বলেন, আমি তো মনে করি এর জন্য জেনারেল শফিউল্লাহর বিচার হওয়া উচিত। তিনি তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাদের কি ভূমিকা তা দেখা দরকার।
তিনি সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে নিয়ে কোন বিতর্ক সহ্য করা হবে না। যারা বিতর্ক সৃষ্টি করবে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে তাকাই সেখানে নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে কোন বিতর্ক নেই, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। কিন্তু আমার জাতির পিতাকে নিয়ে কেন বিতর্ক থাকবে? রাজনীতিতে বিতর্ক থাকতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দলমত নির্বিশেষে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এ নিয়ে কোন বিতর্ক থাকবে না।
এসময় তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান জেনারেল শফিউল্লাহকে বরখাস্ত করে সেনা প্রধানের দায়িত্ব নিলেন। ৪২ বছর বয়সে রাষ্ট্রপতি হলেন। আর আজকে আমরা যেটা দেখি, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার যে সমাধি সেই সমাধিতে আসলে সে আছে কিনা, সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কিনা? আসলেও আছে কিনা? সেই বিষয়ে আমার একটা প্রশ্ন আগেও ছিল এখনও আছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে আনা হলো, সেখানে কাওকে দেখতে দেয়া হয়নি। বেগম জিয়াকেও না। বাক্সবন্দি ছিল।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ সালাম। বক্তব্য রাখেন, মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা আক্তার কাকলী, মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এজেডএম ইমাম উদ্দিন মুক্তা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিছ আলী, বজরং আগরওয়ালা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।