মামুনুল হকের ভাগ্যে কী আছে জানা যাবে আজ
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। কথিত ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ ও সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডে বিতর্কিত দলের এই শীর্ষ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা এক বৈঠকে বসেছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
সংগঠনের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের প্রায় ৩৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।।
এদিকে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী গণমাধ্যমকে জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি সভায় আলোচনার এজেন্ডা হিসেবে রয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিষয়ে আলোচনা হবে। তা ছাড়া মাদ্রাসা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হেফাজতের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনের জামায়াতপন্থি নেতারা মামুনুল হককে স্বপদে বহাল রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। তবে অন্যরা মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে তার ‘ব্যক্তিগত’ বিষয় হিসেবে দেখছেন। একই সঙ্গে তার এমন কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে মামুনুল হককে সংগঠনের কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা হয়। ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করে স্থানীয় লোকজন। তখন মামুনুল দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামুনুল ইস্যু নিয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিব্রত হতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠনের অবস্থান পরিষ্কার করা দরকার বলেও হেফাজত মনে করছে।