জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতেই সামরিকজান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিস্কার করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার বিকেলে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭১ সালের প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানি শক্তি। শুধু তাই নয়, তারা তার নাম মুছে ফেলার জন্য তার বিপরীতে সামরিকজান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিস্কার করে তাকেই স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা করেছিল।

নানক আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পাকিস্তানি বন্দিদশা থেকে বিজয়ী বেশে ফিরে আসেন বাঙালির এই মহানায়ক। বিকালের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। বাংলাদেশের আদর্শ গত ভিত্তি কী ধরণের হবে? রাষ্ট্রের কাঠামো কী ধরণের হবে? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি করেছে-তাদের কী হবে? এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা দিয়েছিলেন।

নানক বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছেন। সেই স্বপ্ন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। দেশের মানুষ মনে করে তার হাতে দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতির সম্পদ যে নিরাপদ। তিনি জেগে আছেন বলেই জাতি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে পরিবর্তিত রূপে যারা আছে, বিএনপি-জামায়াতসহ আজকে যারা মৌলবাদী ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদীর পৃষ্টপোষক, সেই অপশক্তিরা আজও বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে অপকর্ম করছে।

আলোচনা সভা শেষে কৃষকদের মাঝে র্শীতবস্ত্র সামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।