জিয়াউদ্দিন রাজু

  ২৭ জুলাই, ২০২০

ঢাকা-১৮ আসন উপনির্বাচন

সাহারা খাতুনের মতো নেতা চান কর্মীরা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসনে এখন বইতে শুরু করেছে উপনির্বাচনের হাওয়া। দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ, উত্তরা এবং উত্তরখান থানা এবং আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নৌকার টিকিট পেতে পারেন। যদিও এ নিয়ে দলের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও বিরোধী দলকে মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষিত প্রার্থী চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ক্লিন ইমেজের সাহারা খাতুন প্রায় ১২ বছর এমপি ছিলেন আসনটিতে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা চান, সাহারা খাতুনের মতো একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী রাজনীতিক হাল ধরুক এ গুরুত্বপূর্ণ আসনটির। তাদের দাবি দলের অনেক দুঃসময়ের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের মতো নেতাদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক নৌকার টিকিট। তারা ধানমন্ডির ১০ আসনের মতো উত্তরার আসনটি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে নারাজ।

এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে বেশ তৎপর রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতাসহ কয়েকজন প্রার্থী। মনোনয়নের উদ্দেশ্যে তারা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার সাঁটানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে না থাকলেও হঠাৎ কর্মী-সমর্থক বানিয়ে নিজেদের পক্ষে অনেক কিছু লিখছেন। তাদের এমন প্রচারণায় দলের নেতাকর্মীরাও পড়েছেন ভাবনায়।

প্রায়ত এমপি সাহারা খাতুনের পরিবার থেকেও নির্বাচন করতে চান তারই একজন আত্মীয়। তবে দীর্ঘ এক যুগ পর আসনটিতে স্থানীয়দের থেকে নমিনেশন নিতে এবার একাট্টা সবাই। এ নিয়ে স্থানীয় নেতারা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে বার্তা দিচ্ছেন। তারা বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে এখন অনেকেই এমপি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

স্থানীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান, আলহাজ হাবিব আহসান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার। সাহারা খাতুনের ভাগ্নে আনিসুর রহমানও এলাকায় পোস্টারিং করেছেন।

এই আসনে আলোচনায় থাকা হাবিব হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গত তিনটি নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ছিলাম, দল আমাকে দেয়নি, এতে আমার দুঃখ নেই। এবারও প্রধানমন্ত্রী যেই সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা আমি এবারও মেনে নেব। তবে মনোনয়ন পেলে শতভাগ জয়ী হবেন বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজপথের নেতা হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, দক্ষ, অভিজ্ঞ, আদর্শবান, জনকল্যাণে নিবেদিত, এলাকার ও দেশের উন্নয়নে নিবিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি প্রকৃত রাজনীতিক দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমও একই কথা বলেন। তিনি প্রার্থী নির্বাচনের সময় দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও সৎ নেতৃত্বকেই গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উপনির্বাচন,ঢাকা-১৮ আসন,আওয়ামী লীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close