করোনাভাইরাস দুর্যোগে খেটে খাওয়া, পথচারী, ছিন্নমূল প্রায় ৪০০ শিশু ও তাদের মা-বাবার জন্য ঈদের পোশাক বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাবির মধুর কেন্টিন সম্মুখে এ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার এই ভয়াবহ দুর্যোগের সময় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো মৃত্যূর ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

ভিডিও কনফারেন্স আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল হাসান জুয়েল, আবদুল আজিজ, আহম্মদ উল্লাহ জুয়েল, জসিমউদদীন মাদবর। ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।

সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আমরা ছাত্রলীগ করার সময় ৯৮-এর ভয়াবহ বন্যার সময় আমার নেতৃত্বে সারাদেশের মানুষকে স্যালাইন বিতরণ করেছিলাম, আজ ক্যাম্পাসে এসে ছিন্নমূল শিশু ও তাদের বাবা-মাদের ঈদের উপহারসামগ্রী দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল বলেন, প্রতিদিন দেশের কোনো না-কোনো এলাকায় অসহায় মানুষদেরকে ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সারাদেশে যে প্রান্তেই হোক না কেন, আমাদেরকে অবগত করলেই আমরা খাদ্য উপহার পৌঁছে দেবো। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী স্বেচ্ছসেবক লীগ দেশের যেকোনো দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, পথশিশু ও তাদের মাদের মাঝে ঈদ উপহার দিতে সহযোগিতা করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। একসাথে কাজ করার আহ্বানও করেন তিনি।

পিডিএসও/রাজু/হেলাল