ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আগত বিমান যাত্রী সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টীকরণ
কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর একজন যাত্রী সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ/তথ্য বিমান কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। প্রতিবেদন সমূহে তথ্যের বিভ্রান্তি রয়েছে যা জনমনে বিমান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করা হলো:
ফ্লাইট বিজি ২০৮ গত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় অবতরণ করে। উক্ত ফ্লাইট এর সিলেটগামী একজন যাত্রী ফ্লাইটে ওঠার পরে কেবিন ক্রুদেরকে বারবার ডাকতে থাকেন এবং খাবার দিতে বলেন। কেবিন ক্রুগণ তাকে নির্ধারিত মিলের বাইরেও বেশ কয়েকবার খাবার ও ড্রিংকস সরবরাহ করে। পরবর্তীতে তিনি কিছুক্ষণ পরে আবারও একজন কেবিন ক্রুকে ডাকেন। উক্ত ক্রু তখন ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদেরকে খাবার পরিবেশনে ব্যস্ত থাকায় আসতে কয়েক মিনিট দেরি হয়। এ কারণে উক্ত যাত্রী উত্তেজিত হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন এবং দায়িত্বরত কেবিন ক্রুকে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি উক্ত নারী কেবিন ক্রুকে ধাক্কা দেন এবং গায়ে হাত তোলেন। তখন একজন পুরুষ কেবিন ক্রু তাকে নিবৃত করতে গেলে উক্ত যাত্রী তার টাই টেনে ছিড়ে ফেলেন। এসময় আশেপাশের অন্যান্য যাত্রীরা তাকে থামাতে গেলে তিনি তাদের প্রতিও ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং শারীরিক ভাবেও হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে কেবিন ক্রুগণ বিষয়টি পাইলটদেরকে অবহিত করলে ক্যাপ্টেন উক্ত যাত্রীকে বুঝিয়ে সিটে বসানোর নির্দেশনা দেন এবং ঘোষণা দেন যদি তিনি নিবৃত না হন তাহলে ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ অন্য কোন এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করানো হবে। পাশাপাশি কেবিন ক্রুদের ডিউটি পজিশনও পরিবর্তন করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অনেকে প্রচার করছেন তাকে যথাযথ খাবার দেয়া হয়নি এটি ঠিক নয়, ফ্লাইটের যাত্রীবৃন্দকে নিয়মানুযায় সবধরনের সার্ভিস সময়মতো প্রদান করা হয়েছে এবং উক্ত যাত্রীকে নির্ধারিত মিলেও বাইরেও অতিরিক্ত সার্ভিস প্রদান করা হয়েছে। সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যত্যয় হয়নি। এছাড়াও প্রচার করা হচ্ছে ফ্লাইটের ভিতর যাত্রীকে বেঁধে রাখা হয়েছে যা সঠিক নয়। যাত্রীকে নিবৃত করতে এধরনের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বরং তাকে বুঝিয়ে নিবৃত করা হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর উক্ত যাত্রীকে সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটির নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি কর্তৃক তাকে থানায় হস্তান্তর করলে থানা থেকে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। উল্লিখিত যাত্রী কেবিন ক্রু ও অন্যান্য যাত্রীবৃন্দের সাথে যে আচরণ করেছেন সে তুলনায় এভিয়েশন পলিসি (থ্রেট লেভেল) অনুযায়ী বিমানের পক্ষ থেকে যাত্রীর বিরুদ্ধে কোন কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে সম্মানিত যাত্রীদের প্রতি বিমান সর্বদা উদারনীতি গ্রহণ করে থাকে।