শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা তা হারিয়ে না যাক: সারজিস
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হাজার প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ যে নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেটা যেন কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে হারিয়ে না যায়। বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমরা ছাত্র-রাজনীতির নামে আগ্রাসন দেখে এসেছি। নতুন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে ওঠে।’
আজ শনিবার (০৯ নভেম্বর) বিকালে পৌঁনে চারটায় শাবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির আগ্রাসনে বিগত ১৬বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিস্টেমগুলো একপ্রকার ভেঙে গিয়েছিল। আমাদের প্রাণের দাবি নতুন কোনো আঙ্গিকে শিক্ষার্থীরা ফের জিম্মি না হোক। তবে আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসুক। সেটার জন্য প্রয়োজন ছাত্র সংসদ নির্বাচন।’ এ সময় শাবিপ্রবিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ গঠনের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসলাম হোসেন।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের যে কয়েকটি পদক্ষেপ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তার মধ্যে অন্যতম ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশন আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন যাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছি দেশ ও দেশের বাইরে বিপ্লবকে নস্যাৎ করে দিয়ে চক্রান্ত চলছে। হাজার প্রাণের মধ্য দিয়ে যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি সেটার বিরুদ্ধে চক্রান্ত আমরা রুখে দিব।’
মতবিনিময়কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান, শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সালমা আখতার প্রমুখ।