বিএনপির র্যালি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালির আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়াও নগরীর মোড়ে মোড়ে বাড়তি পুলিশ ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা মোতায়েন আছেন। সব মিলিয়ে এবারই প্রথম ভিন্নভাবে পালিত হতে যাচ্ছে দিবসটি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, র্যালিতে যোগ দিতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হচ্ছেন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। তাদের সবার হাতে কমবেশি বিএনপির দলীয় পতাকা ও গায়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের টিশার্ট। কেউ আসছেন মিছিল নিয়ে, আবার কেউ কেউ ট্রাক, বাস ও পিকআপে।
এদিকে, কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নয়াপল্টনে প্রবেশমুখের সড়কটিতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিপরীত সড়কটি খোলা। এসব দেখভাল করছেন ট্রাফিকের সদস্যরা। পাশে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান ও জলকামান। তার বিপরীত সড়কে শ্রম আদালত ভবনের সামনে একটি পিকআপে ভেতরে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। ওয়াকিটকি হাতে পুলিশের সদস্যরা বিএনপির র্যালিতে আসা কর্মীদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন।
শুধু নয়াপল্টন নয়, বিএনপির এই র্যালিকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাংলামোটর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎসভবন, কারওয়ানবাজার এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলামোটরের ওভারব্রিজের পাশের ভবনের নিচে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে কাকরাইল, ফার্মগেট ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকাতেও।
তবে র্যালিকে কেন্দ্র করে যাতে সড়কে নগরবাসীর যেন কোনো ধরণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের শেষ প্রান্ত পশ্চিমের মোড়ে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। ফলে গাবতলি থেকে আসা গাড়িগুলো জাতীয় সংসদের সামনের সড়কে এসে ঘুরে সেদিকে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে যে র্যালি আয়োজন করা হয়েছে সেটি দুপুর ২টায় নয়াপল্টন থেকে বের হবে। পরে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে গিয়ে শেষ হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি শাহরিয়ার হাসান বলেন, র্যালিকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যালিটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যাওয়া পর্যন্ত পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পিডিএস/এমএইউ