সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মশা মারতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৬০ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরে মশা মারতে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নেওয়া ও প্রচার খাতে সিটি করপোরেশনের অনুকূলে ৪০ কোটি এবং পৌরসভাগুলোয় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্য রোগ প্রতিরোধের জন্য সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশে কাজ চলছে। ২০২১ সালে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়। এতে সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সব অংশীজনের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় স্থানীয় সরকার সমন্বয় ও মনিটরিং করে।’
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা ও চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শুক্রবার জুমার খুতবায় ইমামের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সচেতন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা প্রতি দুই মাস অন্তর হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৭ জানুয়ারি জাতীয় কমিটির ২০২৪ সালের প্রথম সভা হয়েছে। যেখানে কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি সব পরিচালক স্থানীয় সরকারের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে যুক্ত ছিলেন।
এমপি এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য গত ১৫ বছরে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে সেবার মান বাড়ানোসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিকে বেগবান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী এবং জনগণ যাতে একই ছাদের নিচে সেবা নিতে পারে। এজন্য এলজিইডি সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবন এবং হলরুম নির্মাণ করেছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সহায়ক হিসেবে নগর স্থানীয় সরকারের সুশাসন সুসংহত করতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ই-জিপি প্রশিক্ষণ, পৌরসভার সক্ষমতা বাড়ানো, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়ন করেছে।’
মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘নিজস্ব রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য এডিপির আওতায় সরাসরি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইন, বিধি, প্রবিধান ইত্যাদি সংশোধন করা হচ্ছে।’