মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে পাঁচ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালের র্যাংকিংয়ে আগের ৪১ অবস্থান থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৫২টি দেশের ওপর এ র্যাংকিং করা হয়। বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। এরপরই পর্যায়ক্রমে চাঁদ ও মিয়ানমারের অবস্থান। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড, যার অবস্থান ১৫২।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য ১৪০তম।
দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স ১২ বছর ধরে র্যাংকিং তালিকা তৈরি করে আসছে। কোনো দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে র্যাংকিং দেওয়া হয়। মোট ১০০ মার্কিংয়ের মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে মোট ৩০, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় রয়েছে ৫ নম্বর।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে,বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান ভূমিকা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট ও ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।
পিডিএস/মীর