হরতালেও সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ
ইশতেহার বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যাটা অনেক কম।
দিনের শুরু থেকেই সড়কে হরতাল সমর্থনকারীদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দু-এক জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজার ওয়ারল্যাস, মৌচাক, শান্তিনগর ও পল্টন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বাভাবিক কর্মদিবসে মগবাজার ওয়্যারলেসে ফ্লাইওভার নামার স্থানে সাধারণত গাড়ির লম্বা লাইন ও অপেক্ষারত মানুষের ভিড় থাকে। হরতালের দ্বিতীয় দিন গণপরিবহন ও যাত্রীর চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে গাড়ির সংখ্যা অন্যান্য হরতাল বা অবরোধের দিনের তুলনায় আজ অনেকটা বেড়েছে।
সকাল নয়টার দিকে ওয়্যারলেস এলাকায় অফিসগাসী মানুষের ভিড় দেখা গেলেও গণপরিবহনে উঠতে তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়নি। শান্তিনগর থেকে কাকরাইল সড়কে জ্যাম না থাকলেও প্রায় স্বাভাবিক দিনের মতোই ছিল গাড়ির চাপ। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে সাধারণ যাত্রীরা।
নাবিস্কো থেকে পল্টনগামী হাসিব বলেন, একটা কাজে পল্টন যাচ্ছি। হরতালের দিন গাড়ি পাব কি না শঙ্কা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তবে গাড়ি পেতে সমস্যা হয়নি। উল্টো যাত্রী কম থাকায় সহজে গাড়িতে উঠেছি। পাশাপাশি সাধারণ দিনের তুলনায় সড়কে গাড়ি কম থাকায় জ্যামের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
একইচিত্র রাজধানীর ব্যস্ততম পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকাতেও। পল্টন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। সড়কে বাসের সংখ্যা অন্যান্য হরতালের দিনের তুলনায় বেশি দেখা গেছে। তবে রিকশাও উপস্থিতিও ছিল বেশি।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দিয়েছিল দলটি। এরপর থেকে পাঁচ দফায় ১০ দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। পঞ্চম দফা অবরোধের শেষ দিন নতুন করে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি। গত রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার এই হরতাল চলছে। যা শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টায়।
পিডিএস/এমএইউ