২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছয়
দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৪৯ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৯১ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুরোগী তিন লাখ ছাড়ালো।
রোববার (১৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ২৯১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৪৭ এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪৪ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা দুজন, ঢাকার বাইরের চারজন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ এক হাজার ২৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৫ হাজার ৭২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫২২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩২৫ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৫২২ জন।
অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন চার হাজার ৯৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯১ হাজার ৩৫০ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।