তমিজী হক বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করে রেখেছিলেন : র্যাব
গ্রেফতারের ভয়ে হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত আদম তমিজী হক রাজধানীর গুলশানের বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করে রেখেছিলেন। অভিযানে যাওয়ার পর র্যাব কর্মকর্তাদের নানাভাবে বিভ্রান্ত ও আত্মহত্যার হুমকি দেন তমিজী হক।
র্যাব বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে তাকে গ্রেফতার করতে চায়। এ জন্য সময় নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তমিজীর বাসায় অভিযানের বিষয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সব নিয়ম মেনে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালায়। অভিযানে র্যাব ফোর্সের কর্মকর্তারাসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময়ে তমিজী হক বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান। এমনকি এ সময়ে তার বাসায় একজন ব্রিটেনের নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি তমিজীর বন্ধু পরিচয় দেন। এছাড়া তার বাসায় চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। আমরা সব নিয়ম মেনে তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি নিজে ছুরি হাতে আত্মহত্যার হুমকি দেন, বাসার জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেন, ভবন থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন।
কমান্ডার মঈন আরও বলেন, এরপরও আমরা যখন তাকে আটক করতে যাই তখন দ্বিতীয়বার বিয়ে করা স্ত্রীকেও ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তমিজী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন। এমনকি বৃহস্পতিবার র্যাব অভিযানে যাওয়ার আগে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ২৫০ শতাধিক শ্রমিক কাভার্ডভ্যানে করে তার বাস ভবনে নিয়ে আসেন। তাদেরও বাসায় আটকে রাখা হয়। এমনকি কেউ যেন বাসা থেকে বের না হতে পারে এজন্য বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করেন।
পরবর্তী সময়ে আমরা যখন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলি তখন তারাও বের হতে চায়। কিন্তু এই শ্রমিকরা চলে যেতে চাইলে তাদেরও আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরবর্তী সময়ে তার বাসায় থাকা ব্রিটিশ নাগরিক ও স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তী সময়ে ওই বিদেশি নাগরিক চলে যান। মূলত আমরা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তমিজী হককে গ্রেফতার করতে চাই।