প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারিতে অংশ না নিলে ব্যবস্থা নেবে মাউশি
দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে ডিজিটাল লটারিতে অংশ না নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার (২ অক্টোবর) মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইনের সই করা ‘অতীব জরুরি’ বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল লটারির এ প্রক্রিয়ায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (জাতীয়করণসহ) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলেও উপজেলা পর্যায়ের অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়নি। একইভাবে সব মহানগর ও জেলার সদর, উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, যা বিধিসম্মত নয়। ভবিষ্যতে যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না, সেসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলার সদর, উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগরী ও জেলার সদর, উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সাল থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
পিডিএস/এমএ