নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

জানাল পিবিআই

আত্মগোপনে যেতে মাকে টাকা পাঠান মরিয়ম মান্নান

ফাইল ছবি

খুলনার আলোচিত নারী রহিমা বেগমের কথিত নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই জানিয়েছে, মরিয়ম মান্নান পরিকল্পিতভাবে ওই ‘অপহরণ নাটক’ করেছিলেন। এমনকি ‘আত্মগোপনে’ যেতে ‘নিখোঁজের দিন’ মাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে এক হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না চাওয়ায় সৎ বাবাকেও গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। মামলার এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও বর্তমানে তারা সবাই জামিনে রয়েছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মরিয়ম মান্নান আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রহিমা বেগমের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতেই এই পরিকল্পনা করেন তিনি। তবে এই পরিকল্পনার মধ্যে ছিলেন না তার ভাই এবং অন্য বোনেরা। ওই ঘটনার আগেও রহিমা বেগম একাধিকবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আবার ফিরে আসেন। এসব ঘটনা পরিবারের সদস্যরা জানতেন। তবে ওই ঘটনা ছিল পরিকল্পিত।

এ বিষয়ে খুলনা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। অনুমোদনের জন্য পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদিত হলেই আদালতে জমা দেওয়া হবে।

তবে এ বিষয়ে মরিয়াম মান্নান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে কী পেয়েছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছেন? উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. আবদুল মান্নান বলেন, জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মরিয়ম মান্নানদের ঝামেলা চলছিল। বিভিন্ন সময় ওই প্রতিবেশীদের নামে জমি নিয়ে মামলাও দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা প্রতিবার নথিপত্র জমা দিয়েই বেরিয়ে গেছেন। সর্বশেষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই ওই নাটক করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মরিয়ম মান্নান,আত্মগোপন,মা,টাকা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close