সংসদ প্রতিবেদক :

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আলোচনায় হানিফ

‘রাস্তার উন্নয়ন হলেও দুর্ঘটনা কমেনি’

ছবি : সংগৃহীত।

দেশে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। পাশাপাশি গ্যাসের দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যবসায়ীদের বিদেশি পণ্যের দাম বাড়াতে বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমাদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে অর্থাৎ গ্যাসের দাম আমাদের কিছুটা সমন্বয় করতে হয়েছে। এটা নিয়ে অনেকে অনেক সময় সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী চমৎকার একটি কথা বলেছেন এ দেশে গ্যাসের ব্যবহারকারী কারা। সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন শিল্প, কল-কারখানার মালিকেরা। তারা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জন্য তাদের হয় তো বাড়তি কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। সাধারণ মানুষ কম গ্যাস ব্যবহার করে বিধায় তাদের ওপর এই চাপটা কম থাকবে। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হানিফ বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের যারা চালক, চালকদের কারণেই কিন্তু আমরা বার বার দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছি। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়, এই ড্রাইভিং লাইসেন্সের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। বেশির ভাগই যারা লাইসেন্স নেয় তাদের শিক্ষার ঘাটতি আছে। তারা জানে না আইন, জানে না নিয়ম-নীতি, তাদের শুধু গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। তাদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। উন্নত বিশ্বে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়, তাদের পরীক্ষা নিয়ে পাস করার পর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়। আমাদের দেশে এই পদ্ধতি চালু করা হোক। যাতে নূন্যতম শিক্ষার যোগ্যতা আছে, যারা আইন পড়তে পারে, আইন বুঝতে পারে তাদের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবস্থা করা হোক, যাতে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা করতে পারে। এতে রাস্তার দুর্ঘটনা কমে আসতে পারে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে আর কোনোদিন খাদ্য সংকট হবে না। যে বাংলাদেশে একদিন খাদ্যের অভাবে মানুষ না খেয়ে থাকতো, সেই বাংলাদেশ থেকে আমরা আজ খাদ্য রফতানি করি। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে মানুষ অনেক কষ্টে ছিল। আজ শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। বিশ্বব্যাপী করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি, নিত্য পণ্যের দাম আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছি।

বর্ষিয়ান পার্লামেন্টেরিয়ান বীরেন শিকদার বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তাদের শাসনামলে মানুষের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর নির্যাত চালানো হয়। তাদের আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়। আর আজ তারা লাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেন। নির্বাচন, গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের এসব কথা মানায় না।

দবিরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ভোটে জিতে এমপি হলে কি হবে, ডিসি এসপিরা আমাদের কথা মানেন না। আমরা এখানে যাই বলি না কেন, আমাদের কোনো কাজ বা কথা আমলারা মানে না।

রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন এমপি আব্দুল লতিফ, নূর মোহম্মদ, শবনম জাহান, দবিরুল ইসলাম, মোরাজ্জেম হোসেন সওদাগর, আছলাম হোসেন সওদাগর, হাবিব হাসান, খান আহমেদ শুভ।

পিডিএস/এএমকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আলোচনা,রাষ্ট্রপতির ভাষন,মাহবুবউল আলম হানিফ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close