নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

বায়ুদূষণ কমাতে ঢাকায় ছিটানো হচ্ছে পানি

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। শুষ্ক মৌসুমের দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সময় প্রায়শই শীর্ষে উঠে আসে রাজধানী ঢাকা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) মাত্রা অনুযায়ী, ঢাকার অবস্থান শীর্ষ অবস্থানে চলে এসেছে। এতে বায়ুদূষণের মাত্রা প্রথমে ছিল ৩৩৩, পরে তা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৭১ একিউআই সূচক।

এদিকে, বায়ুদূষণ কমাতে ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে। দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

একিউআই অনুযায়ী, ঢাকার পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দিল্লি, একিউআই সূচকে মাত্রা ২১২। আর তৃতীয় অবস্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাসকেন্ট শহর, মাত্রা ১৭৬।

বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, একিউআই সূচক ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে মাত্রা থাকলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে চিহ্নিত করা হয়। শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘ভালো’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মোটামুটি’, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত ‘সতর্কতামূলক’, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আর ৩০১-এর বেশি স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ বা দুর্যোগপূর্ণ বলা হয়।

জানা যায়, বনানী নেভিগেট থেকে সকালে স্প্রে শুরু করে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রে শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কাওরানবাজার ও মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। বড় রাস্তা ছাড়াও অন্য রাস্তাগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার (পানি ছিটানোর মেশিন) দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবারও (২২ জানুয়ারি) সকালের দিকে একিউআই সূচকের মাত্রা অনুযায়ী ঢাকা শীর্ষ অবস্থানে ছিল, মাত্রা ছিল ২৭১।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমের সময় বায়ুদূষণ বেড়ে যায় ঢাকাসহ যেকোনও শহর এলাকায়। আজ শহরে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বেড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তাঘাটে সিটি করপোরেশন পানি ছিটালেও তা অপর্যাপ্ত হওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।’ আরও বেশি করে পানি ছিটিয়ে দিলে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে থাকতো বলে তিনি মনে করেন।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বায়ুদূষণ,ঢাকা,ডিএনসিসি,পানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close