reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই : প্রধানমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেকে এখন রিজার্ভ নিয়ে নানা সমালোচনা করছে। অথচ আমাদের সরকার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়েছে। আর কোনো সরকার রিজার্ভ বাড়াতে পারেনি। পর্যাপ্ত রিজার্ভ হাতে রেখেই সব কাজ করছি আমরা। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের সব ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। সামনের দিনে কোনো সমস্যা হবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা শুনছি। অনেকে প্রশ্ন করেন রিজার্ভ গেলো কোথায়? আমরা তো রিজার্ভ অপচয় করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে, খাদ্যশস্য কিনেছি। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। করোনার টিকা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। এসব কাজে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কারণ আমরা সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা জানতে চান রিজার্ভ কোথায় গেলো, তাদের বলছি, রিজার্ভ কোথাও যায়নি। মানুষের কাজে লেগেছে। যেহেতু যুদ্ধ লেগেছে, দাম বেড়েছে সবকিছুর। তারপরও আমরা খরচ করছি, আমদানি করছি; যাতে দেশের মানুষের খাদ্যের যেন ঘাটতি না হয়। কারও কোনও ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়। এজন্য দেশের সব মানুষকে বলে দিয়েছি, কোনও জমি যাতে খালি রাখা না হয়। পারলে একটা মরিচ গাছ লাগান, একটি টমেটো গাছ লাগান। এটি আমাদের সবার উপকারে আসবে।’

রক্ত ও হত্যা ছাড়া বিএনপি আর কিছু দিতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত ও হত্যা ছাড়া বিএনপি আর কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু পারে মানুষের রক্ত চুষে খেতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার পাওয়ার অধিকার আমার ছিল না। বাবা-মা-ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। তারপরও এ বাংলায় ফিরে এসেছি। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল আমার লক্ষ্য। মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বিএনপি নিজেদের উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কিছুই দিতে পারে না। শুধু পারে মানুষের রক্ত চুষে খেতে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির প্রধান নেতা খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছেন। সে কারণে তিনি আজ সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে কী দিতে পারেন বলেন?’আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করেছি। যশোরে আমাদের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিয়েছি। ১০ টাকায় আজ কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। এই যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক হয়েছে।’

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়। এর আগে দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে তিনি যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা। মঞ্চে উঠে তিনি হাত নেড়ে জনসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন।

এর আগে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,যশোর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close