নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন দল নিবন্ধনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন চাওয়া সব দলের বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম-৭১ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে জামায়াত-সংশ্লিষ্টদের কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি জানায়।
রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রজন্ম একাত্তর স্মারকলিপি দিয়েছে গেছে। বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানা নেই। আগে দেখব, জানব, তারপর বলতে পারব। আমরা এটুকু জানি, আইনে নির্দিষ্ট শর্ত আছে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই শুধু কোনো দল নিবন্ধন পায়। জামায়াত অন্য আদলে আসছে কি না, তা অগ্রিম বলা ঠিক হবে না। জামায়াতই আসছে এগুলো আসলে প্রমাণ হোক, তারপর আমরা পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেব।
এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নতুন নামে নিবন্ধন চাইলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আইনে কোনো নির্দেশনা থাকলে পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধনে শর্তপূরণ করলে জামায়াত-সংশ্লিষ্টদের নিবন্ধন পেতে বাধা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ পার্টি আদালতের আদেশ অনুযায়ী। নিষিদ্ধ মানে নিবন্ধনটা বাতিল করা হয়েছে। যেহেতু নিবন্ধন নেই, নির্বাচনে তারা আসতে পারবে না। এখন নতুন করে তারা কীভাবে আসছে না আসছে এগুলো খতিয়ে না দেখে বলা যাবে না। যেহেতু নিবন্ধনটা ওদের বাতিল হয়ে গেছে, এখন যদি প্রমাণ আসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আইনের মধ্যে যদি থাকে, আর যদি না থাকে তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম আসলে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জায়গা নেই। আগে প্রমাণ হোক তারপর আমরা পাঁচজনে বসে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আইনের কথা যদি বলি জামায়াত যেহেতু কোর্টের আদেশে নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, সেখানে নতুন করে জামায়াতকে দেওয়ার তো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘জামায়াত অন্য নামে আসছে কি না এটা কিন্তু প্রমাণসাপেক্ষ। বাংলাদেশে ডেভেলপমেন্ট পার্টি দরখাস্ত দাখিল করেছে, আর অন্যরা বলছেন যে তারা অন্য নামে দিয়েছেন সেটা তো প্রমাণের বিষয়। আগে হোক, যাচাই-বাছাই হোক, তখন বলা যাবে। আমরা শুধু এই দল নয়, ৯৩টি পার্টির ব্যাপারেই যাচাই-বাছাই করে আইনি কাঠামোতেই দেখব। গঠনতন্ত্র যাচাই করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে। একজন এসে দাঁড়াল আমরা একটা দল, তা হবে নাকি। যাচাই-বাছাই করেই দেব।’