reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর, ২০২২

মঙ্গলবার মহানবমী 

ফাইল ছবি

মঙ্গলবার মহানবমী। কল্পারম্ভ আর সন্ধিপূজার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার তৃতীয় দিন ‘মহাঅষ্টমী’। সকালে ষোড়শ উপাচারে অনুষ্ঠিত হয় দেবীর পূজা। ১০৮ পদ্ম এবং প্রদীপ দিয়ে দুর্গতিনাশিনী দুর্গার আরাধনা করা হয়। মহানবমীর পর মণ্ডপে মণ্ডপে বাজবে বিদায়ের সুর। বুধবার (৫ অক্টোবর) দশমী শেষে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে উৎসবের।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বাজারের পাশে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌ ট্র্যাডেজির কারণে এবারের উৎসব অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। শতাধিক মানুষ নিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল। ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়।

অনেকের বিশ্বাস মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণ ভরে দেখে নেয়ার ক্ষণ। এই দিন অগ্নিকে প্রতীক করে সব দেবদেবীকে আহুতি দেওয়া হয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব। নবমী নিশিথে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশি লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন।

রাজধানীসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে উদযাপিত হয় মহাঅষ্টমী। তবে অষ্টমীর মূল আকর্ষণ ছিল কুমারী পূজা। সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে বেলা ১১টার দিকে কুমারী পূজা হয়। আর সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন ছাড়াও বরিশাল, নাটোর, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবার কুমারী পূজা হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর ঢাকায় কুমারী পূজা হয়নি। তাই এবার কুমারী পূজা ঘিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, আরতি আর মাইকের আওয়াজে মাতোয়ারা ছিল সারা দেশের মণ্ডপগুলো। মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শনিবার (১ অক্টোবর) শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব।

পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারায়।

পুরাণ অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে চেপে। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্গা গজে চড়ে এলে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন। আর ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় গমনেও ধরণী হবে শস্যপূর্ণ তবে থাকবে অতিবৃষ্টি বা বন্যা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মহানবমী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close