reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ছবি।

বিশ্বব্যাপী একটি বড় ধরণের সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ঠেকাতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ গ্রহনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘এএমআর এমন একটি সমস্যা যা সংকটে রূপ নিতে পারে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ প্রাণহানি হতে পারে। এটি প্রতিরোধে আমাদের টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’ সুতরাং, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ল্যাক্সিংটন হোটেলে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এই গ্রুপ থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্যে কাজ চলছে, কিন্তু এটি স্পষ্ট যে এই ব্যাপারে আরো কিছু করা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, ‘কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের একটি ‘অভিন্ন স্বাস্থ্য পদ্ধতি’তে স্থিত হওয়া প্রয়োজন।’

ইতোমধ্যে, প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর বিষয়ে তাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্যে অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড পছন্দের হাতিয়ার হতে পারে।

এএমআর-এর জন্য বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএমআর এর দায়িত্ব ও প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্যে নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের জড়িত হওয়া অত্যাবশ্যকীয় এবং একটি রোগীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতির সাথে যোগসূত্রের মাধ্যমে শুরুতেই রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নতুন এএমআর-এর ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অভাবকে উদ্বেগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্যে বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।

কিছু জটিল প্যাথোজেনের জন্য এএমআরের বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে, তিনি বলেন, এই বিষয়ে সংগৃহীত প্রমাণ এবং তথ্য উপাত্ত বেশ চোখ খুলে দেয়ার মত।

সরকার প্রধান বলেন, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই এবং এ জন্যে নভেম্বরে বার্ষিক বিশ্ব সচেনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ।

শেখ হাসিনা অভিমত দেন যে এই সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ মানব স্বাস্থ্য, প্রাণী স্বাস্থ্য, খাদ্য ব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন এএমআর নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে পারে বলে।

তিনি আশা করেন, আজকের সকালের বৈঠকটি এএমআর এর বিরুদ্ধে আরও রাজনৈতিক গতিবেগ সঞ্চারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সকলেই বিশেষজ্ঞদের ভাবনা, উপলদ্ধি জানতে, শুনতে এবং উপকৃত হতে চান। সূত্র : বাসস।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স,প্রতিরোধ,প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close