নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পায়রা বন্দর চালু হবে আগামী জুনে 

প্রথম টার্মিনালের কাজ এগিয়েছে ৫০ শতাংশ

ফাইল ছবি

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। যোগাযোগ বাড়াতে তৈরি হচ্ছে ছয় লেনের সড়ক। আগামী বছরের মাঝামাঝি বন্দরটি পুরোপুরি চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়ার রাবনাবাদ চ্যানেলে নির্মিত হচ্ছে প্রথম টার্মিনাল। ৬৫০ মিটার মূল টার্মিনাল এবং ৩২৫ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ডের কাজ শেষ হলে ২০০ মিটারের তিনটি মাদার ভেসেল জাহাজ নিয়মিত কনটেইনার খালাস করতে পারবে।

এদিকে, টার্মিনালের সঙ্গে যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে ছয় দশমিক তিন পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। পাশাপাশি আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১ দশমিক এক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর কাজও চলছে।

পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ সোহায়েল জানান, কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর পায়রা। দিনে দিনে এ সমুদ্র বন্দর থেকে মুনাফা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পায়রা বন্দরে ছুটে আসছে দেশি-বিদেশি লগ্নীকারকরা, উৎসাহিত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। এখন বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক উদ্যম ও কর্মচাঞ্চল্যতা। গড়ে উঠেছে প্রশাসনিক ভবন, সার্ভিস জেটি, পন্টুন, সিকিউরিটি ভবন, ওয়্যার হাউস, পানি শোধনাগার, চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ, যা এখন প্রায় শেষের পথে। ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রার রামনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় নির্মাণ হচ্ছে প্রথম টার্মিনাল এবং কনটেইনার ইয়ার্ড।

প্রথম টার্মিনাল এবং কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চীনের সিএসআইসি ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে ২০২০ সালের ৩০ জুন চুক্তি হয়। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ প্রথম টার্মিনাল নির্মিত হলে পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি মাদার ভেসেলে ভিড়তে পারবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার ২০৩ টাকা। কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মিত হলে বছরে প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার টিইউস কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করা যাবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পায়রা বন্দর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close