চলন্ত বাসে নারী হেনস্তা, গ্রেপ্তার ১০ জনকে পুলিশে হস্তান্তর
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও নারী হেনস্তার পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ গ্রেপ্তার ১০ জনকে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশী ১০-১২ জন ডাকাত বাসে ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাস তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও অলংকার লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারীকে হেনস্তা করা হয়।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২-এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, সোমবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রতনসহ গ্রেপ্তার ১০ জনকে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে আনা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রবিবার তাদের রাজধানীর ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২ ও ১৪)।
র্যাব জানায়, বাসের হেলপারের ছদ্মবেশে ২০১৮ সাল থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি চালিয়ে আসছিল মো. রতন হোসেন (২১)। তিনি এ চক্রের দলনেতা। তার অধীনে ১৩-১৫ জন্য সদস্য রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় দুই দফার কারাভোগও করেছেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় ৯ মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আসেন এবং পুনরায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করে দলনেতা রতন হোসেন।
গ্রেপ্তার ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (২৪), মো. সোহাগ মন্ডল (২০), খন্দকার মো. হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩), মো. বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন (২১), মো. আব্দুল মান্নান (২২), মো. নাঈম সরকার (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান (১৮)।
টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ শহরের নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়া, কালিয়াকৈর থেকে আব্দুল আউয়াল এবং নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে। রাজা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। আউয়াল ও নুরনবী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।