পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালুর প্রথম দিনেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
প্রতিযোগিতা করে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবক মারা গেছেন। রবিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যার পর পদ্মা সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের মাঝখানে চলন্ত মোটরসাইকেলে ভিডিও করার সময় ওই দুই যুবক দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে তাদের গুরুতর অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল সূত্রে তাদের দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া রাত পৌনে ১১টার বলেন, ‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের পাশে গুরুতর আহত দুই যুবক সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পাশে রক্ত ও জুতা পড়ে আছে। তবে সেতুর কোন জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভিডিওতে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। সেতুর উত্তর প্রান্তে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। অপর প্রান্তে ঘটতে পারে।’
নিহতদের বন্ধু জয়দেব গণমাধ্যমকে জানান, তারা সবাই ঢাকার নবাবগঞ্জ থাকেন। মোটরসাইকেল মেকানিক আলমগীর নবাবগঞ্জের সমসাবাদ এলাকায় আর বিদেশ ফেরত ফজলু হরিশকুল এলাকায় থাকতেন। পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ায় তারা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় বন্ধু মিলে ঘুরতে যান। তারা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আগে চলে যান। আর তাদের পেছনের দিকের মোটরসাইকেলে ছিলেন ওই দুজন।
তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় ওই দুইজনকে। তবে তাদের আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এদিন সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর উত্তর টোল প্লাজার উত্তর প্রান্তে মোটরসাইকেলের ভিড় লেগে যায়। এ সময় টোল দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে উঠে উল্লাস প্রকাশ করেন আরোহীরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রবিবার সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।