reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু আজ সারা বিশ্বের কাছে সম্ভাবনা ও গর্বের নাম : এলজিআরডি মন্ত্রী

শনিবার সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশস্থলে সেতু উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানান এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতু আজ সারা বিশ্বের কাছে সম্ভাবনা এবং গর্বের এক নাম। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অর্জন। যা পুরো জাতির কাছে এক ভিন্ন অনুভুতি ও আত্মমর্যাদা বহন করছে।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সংযোগ নয়, গোটা জাতির অর্থনীতি, খাদ্যে উন্নতি এবং আগামীর বাংলাদেশকে উন্নয়নের সেতুতে রূপান্তরিত করার এক সোপান। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। এই সেতু বাঙালির লক্ষ্য পূরণ ও অগ্রযাত্রার বিরাট মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে সম্ভাবনা এবং গর্বের একটি দেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই তার পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।

সেতুর জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসহ মাওয়া প্রান্তে সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পদ্মার পাড় সেজেছে নতুন রূপে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এ আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।

সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একই সঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতুর কাঠামো। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ থেকে ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পদ্মা সেতু,গর্ব,সম্ভাবনা,বিশ্ব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close