অনলাইন প্ল্যাটফরমে পণ্য বা সেবা বিক্রির নামে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে নানামুখী প্রতারণা থেকে বিরত রাখতে না পারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সেইসঙ্গে যাদের অবহেলার কারণে গ্রাহকের সঙ্গে ধোঁকাবাজি, হয়রানির মতো প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এ ঘটনায় মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি ই-কমার্স ব্যাবসা তদারকির জন্য স্বাধীন রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) তিনটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও অ্যাডভোকেট আনোরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

গত বছর দেশের ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে তিনটি রিট করা হয়। ওই সব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।