নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ অক্টোবর, ২০২১

‘মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হলে তা বিচারের ব্যাপ্তিকে ক্ষুন্ন করে’

ফাইল ছবি

আদালতে বিচারাধীন মামলাসমুহ নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হলে তা বিচারের ব্যাপ্তিকে ক্ষুন্ন করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মেডিয়েশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়া ২৮০ জন বিচারককে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এতে মামলার পক্ষসমূহের খরচ বেড়ে যায় আদালতেও মামলার জট বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে মন্তব্য করেন বিচার বিভাগের প্রধান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক, আইনজীবী ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অবশ্যই মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তিতে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকল বিচারপ্রার্থী দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকারী। সে ক্ষেত্রে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে মেডিয়েশন প্রক্রিয়া মামলাজট নিরসনে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, মূলত মেডিয়েশন হলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতি আদালত-ট্রাইব্যুনালের প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে মেডিয়েশন পদ্ধতি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে পঞ্চায়েত অন্যতম। পঞ্চায়তের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগ দ্বারাও সমাদৃত হয়ে থাকে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সফলভাবে দেওয়ানি-ফৌজদারি মামলায় মেডিয়েশনের প্রয়োগ হচ্ছে। বর্তমানে নিউইয়র্কে ১০ শতাংশ দেওয়ানি মামলা বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকেও মেডিয়েশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। কানাডায় প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা এভাবে নিষ্পত্তি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতেও মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সমগ্র বিশ্বেই মামলা নিষ্পত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পন্থা হিসেবে মেডিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস)।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধান বিচারপতি,সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close