অপরাধ-উস্কানি নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় নিতে চায় পুলিশ। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের জেলা কর্মকর্তারা।

পুলিশ হেড কোয়াটার্সে দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ সেপ্টেম্বর) চলমান ‘ক্রাইম কনফারেন্সে’ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপাররা (এসপি) এ বিষয়ে তাদের জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন।

কনফারেন্সে পুলিশের সব রেঞ্জ ডিআইজি, এসপি, কমিশনার ও উপকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

একজন পুলিশ সুপার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে একটি মহল বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হলেও তাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা দেশের বাইরে অবস্থান করে দেশ ও সরকার, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। তাদের অপতৎপরতা রোধে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জেলা পুলিশের অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, এই কনফারেন্স প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে দেশে কিশোর অপরাধ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তা তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে ধারণা না থাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চান পুলিশ সুপাররা। তবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে পুলিশের সব ক্রাইম ইউনিটে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান এই পুলিশ সুপার।

জানা গেছে, কনফারেন্সের শুরুর দিন রবিবার জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন দুই কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন—ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, দাঙ্গা, মাদক, অস্ত্র ও গাড়ি উদ্ধার ইত্যাদির তথ্য তুলে ধরার পাশিপাশি দ্রুত বিচার আইনে মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিবরণও উল্লেখ করা হয়। এসব তথ্য তুলে ধরেন ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এ ওয়াই এম বেলালুর রহমান।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন—অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেন।

পিডিএসও/হেলাল