শ্রমিকরা রোববার কাজে যোগ না দিলেও চাকরি থাকবে
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনার ঊর্ধগতির কারণে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় দাবীর কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার থেকে কারখানার আশেপাশে বসবাসকারী শ্রমিকদের দিয়ে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালু করা হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারবেন না তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে না বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দেবেন। এ সময়ে যেসব শ্রমিক কারখানায় আসতে পারবে না তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না।
শুক্রবার বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের পর থেকেই অধিকাংশ শ্রমিক গ্রাম থেকে ফিরেছেন। মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর এ তিন এলাকায় শ্রমিকরা এখন কারখানার আশপাশে বসবাস করছেন। ১ আগস্ট থেকে কারখানার আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালু করা হবে। এখনও যারা ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আছেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শেষ হলে তারও কাজে যোগ দেবেন। এজন্য কোনো শ্রমিকের চাকরি যাবে না। কোনো কারখানা থেকে তাদের ছাঁটাই কারা হবে না। যদি এ সময়ের মধ্যে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করার তথ্য আমরা পাই তাহলে পুনরায় তার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প কারখানাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিটওয়্যার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী শ্রমিকদের দিয়ে আপাতত রোববার থেকে কারখানা চালু হবে। কারখানা খোলা হলেই বুঝা যাবে কত শ্রমিক এখনও কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি।
তিনি বলেন, এখন কাজের প্রচুর চাপ, আমাদের শ্রমিক দরকার। সুতরাং কারখানা চালু করাটাই আমাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১ আগস্ট (রোববার) থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো।
পিডিএসও/ জিজাক