সারা দেশে এখন পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন মোট ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭৩ জন। এদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়ার স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে ৭১১ জনের। পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৩৫ জন।

শনিবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৮০ হাজার ৭৬১ জন এবং নারী ৫৩ হাজার ৭২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৫০ হাজার ৩৯১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ হাজার ৩৭৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫ হাজার ৯৭৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৪ হাজার ৫৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ৫১০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৯৫ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ৮০৭ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

এরআগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ মোট ১ হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। ১ হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪শ’ টিম কাজ করবে।

এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার ৩৪৪টি।

পিডিএসও/এসএমএস