প্রকৌশলী, ঠিকাদার এবং শ্রমিকদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত এবং টেকসই করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার গাজীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর ‘নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলেও ঠিকাদার এবং শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ থাকে না। সে কারণে কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত এবং টেকসই করা সম্ভব হয় না। এই বিষয়ে অনুধাবন করেই এলজিইডির অধীনে একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার নির্মাণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর গ্রাম অঞ্চলের অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করা সম্ভব হবে এবং এলজিইডি নির্মিত অবকাঠামোসমূহের গুণগত মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থান তৈরি হবে।

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, যে ঠিকাদার শিডিউল মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানসম্মত ও টেকসই কাজ করবে, সেই ঠিকাদারকে আরও বেশি কাজ দেওয়া হবে। আর যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারবে না অথবা নিম্নমানের কাজ করবে, তাদেরকে শুধু কালো তালিকাভুক্ত নয়, তাদের বিরুদ্ধে সবধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজাইন বহির্ভূত কেউ কোনো কাজ করলে তাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এলজিইডির কাজের গুণগত মান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এলজিইডি ইতোপূর্বে যেসব রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছে, দেশের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় সেগুলো 'লো কস্টে' করা হয়েছে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর মানসম্মত এবং টেকসই কাজ করার জন্য নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে এবং 'প্রাক্কলন' বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এর ফলে এখন থেকে দেশে আর কোনো নিম্নমানের কাজ হবে না। এলজিইডির অধীনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই কাজ করার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান এবং এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/হেলাল