বুধবার থেকে দেশে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু
বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
এর আগে ২০শে জানুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথমদিন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২০-২৫ জনকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু করা হবে। প্রথমে টিকা দেয়া হবে একজন নার্সকে।’
করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার এই কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত থেকে শুভেচ্ছা হিসাবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা বৃহস্পতিবার দেশে এসেছে। পাশাপাশি ২৫শে জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড নামের টিকাটি ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করছে। বাংলাদেশ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যারা সামনের সাড়িতে কাজ করেন, তারা আগে টিকা পাবেন।
পরবর্তী কয়েকদিনে ঢাকার চারটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলক হিসাবে ৪০০-৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা প্রয়োগ করা হবে।
এই হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী আটই ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, প্রথম মাসে ৬০ লক্ষ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে।
প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ২৬শে জানুয়ারি থেকে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
পিডিএসও/ জিজাক