রেজাউল করিম খোকন

  ১৯ অক্টোবর, ২০২২

অর্থনীতিতে লোডশেডিং ও এর প্রভাব

আধুনিক সভ্যতার অন্যতম উপাদান বিদ্যুৎ। উন্নয়নের মূল চাবিকাঠিও। তাই বলা হয়, বিদ্যুতের শক্তি অপরিসীম। আমাদের সবার জীবনে বিদ্যুতের দরকার। জীবনে খাবারের যেমন দরকার, তেমনি উন্নয়নেও বিদ্যুৎ দরকার রয়েছে। বিদ্যুতের অপর নাম শক্তি। এক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে দ্বিতীয়বারের মতো বিপর্যয় ঘটেছিল গত সপ্তাহে। এ সময় ঢাকাসহ ৩২ জেলায় কোথাও ৪ ঘণ্টা, কোথাও আবার একটানা ৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না। টানা দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি মানুষ। এ সময় ব্যাহত হয় চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকের লেনদেনসহ যাবতীয় জরুরি সেবা। বিভিন্ন শিল্পকারখানায় উৎপাদনও আংশিক বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত এবং বাসাবাড়িতে একটা সময় পর পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের অভাবে জেনারেটর চালানো সম্ভব হয়নি।

গত জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে এমনিতেই দেশের শিল্পকারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা হলেও বিপর্যয় নেমে আসে। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলগুলো লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে রাখার দাবি জানানো হলেও কার্যত তা হয়নি। যথারীতি লোডশেডিং হচ্ছে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে শিল্প কারখানাগুলো। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পকারখানাগুলো লোডশেডিংয়ের কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদন শেষ করে সময়মতো শিপমেন্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দা ও অন্যান্য সংকটের কারণে আমাদের রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শিল্প মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ে গত ১৯ জুলাই থেকে দেশে পরিকল্পিত লোডশেডিং শুরু করে সরকার। দিনে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও তা মানা হয়নি শুরুতে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ধীরে ধীরে হলেও লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসছিল। তখন বলা হয়েছিল অক্টোবর থেকে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসবে এবং তা ক্রমেই বিদায় নেবে। সবাই আশাবাদী হয়েছিলেন তেমন আশ্বাসে। কিন্তু বর্তমানে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে অনেক কম। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের অভাবে এবং জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বন্ধ থাকছে অনেকটা সময় ধরে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো জ্বালানি তেল ও গ্যাসের অভাবে অর্ধেকেরও বেশি সবসময় উৎপাদন সক্ষমতা অলস পড়ে থাকছে। ফলে সঞ্চালন লাইনে প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ হলেও এ খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। স্বাধীনতার আগে থেকেই বিদ্যুৎ খাত ছিল সরকারনির্ভর। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ ছিল না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় বিদ্যুৎ খাত বেসরকারি মালিকানার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আইপিপি অর্থাৎ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার নীতিমালা করা হয়। এ সরকারের আমলেই দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে। বেসরকারি খাত থেকেই ১২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এরপর ক্রমেই উৎপাদন বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা সঞ্চালন করা হয় জাতীয় গ্রিডে। সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এ গ্রিড বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। এক সময় দেশে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন করত পিডিবি। এখন বেসরকারি খাতে নানা ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও বিদ্যুৎ এসে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

দেশে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। ডলার সংকটের কারণে সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে গত জুলাইয়ে সব ডিজেলচালিত কেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দেয়। তবে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় আগস্টের মাঝামাঝিতে আবার বেসরকারি খাতের ডিজেলচালিত ছয়টি কেন্দ্র চালু করা হয়। অথচ এসব কেন্দ্র বন্ধ করে ফার্নেস তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমে আসত। বেসরকারি খাতের ডিজেলচালিত ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে ফার্নেস তেলে উৎপাদন ১০ শতাংশ বাড়ালেই প্রতি মাসে সাশ্রয় হতো প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য জানা গেছে। বাড়তি লোকসানের চাপ কমাতে ডিজেল ও ফার্নেস তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে তারা।

বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা বলছেন, আর্থিক চাপে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরো সক্ষমতায় চালাতে পারছেন না। ডিজেলের বদলে ফার্নেস অয়েলে উৎপাদন করলে দিনে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব। কিন্তু গত আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে সরকারের কাছে। চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ দিন পর উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিল দেওয়ার কথা থাকলেও তিন মাসের বেশি বকেয়া পড়েছে। আর্থিক সংকটে পিডিবি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কেনা বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না। দেশে বর্তমানে গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েল, ডিজেল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি খরচ ডিজেলে এবং সবচেয়ে কম গ্যাসে। জ্বালানির চড়া দামে বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছে পিডিবি। নিয়মিত ভর্তুকিও পাওয়া যাচ্ছে না সরকারের কাছ থেকে। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বড় ধরনের আর্থিক চাপের মধ্যে পড়েছে সংশ্লিষ্ট পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা।

ডলারের বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে বেশি দামে ডলার কিনে তেল আমদানির ঋণপত্র খুললেও পিডিবি বিল পরিশোধ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত বিনিময় হারে। তাই লোকসানের ধাক্কা সামলাতে পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিক উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা উৎপাদন বাড়াতে চাচ্ছেন না। জ্বালানি তেল নির্ভরতা বেড়ে গেলে পিডিবির টাকার অভাব হবে, এটা আগে থেকেই অনুমান করা গিয়েছিল। বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে সম্প্রতি। এতে করে পিডিবির আয় বাড়বে অবশ্যই। তবে তাদের নিয়মিতভাবেই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল পরিশোধ করা উচিত। বিল পরিশোধ করে মাসে ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারলে পিডিবিরই লাভ হবে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর চালিকাশক্তি হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। চলমান লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের জনজীবনে চরম ভোগান্তি এবং বিপর্যয় নেমে এসেছে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে সাম্প্রতিক গত কয়েক মাসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে এখনো। এর মধ্যে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। যার চাপে এমনিতেই দেশে অর্থনীতিতে চরম অস্থিরতা । যানবাহনের ভাড়া, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সরাসরি সাধারণ মানুষকে নতুন করে চাপে ফেলে দিয়েছে। ইদানীং লোডশেডিংয়ের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কলকারখানায় উৎপাদন কমে গেছে। ফলে উৎপাদিত সামগ্রীর মূল্য বেড়েছে। বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতালে লোডশেডিংয়ের কারণে চিকিৎসাসেবায়ও অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণে বিকল্প উপায়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টাও একটানা অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। বাসাবাড়িতে জেনারেটর বন্ধ থাকছে। যারা জেনারেটর চালাচ্ছেন তাদের এজন্য অনেক বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ খুব বেশি হওয়ায় ক্ষুদ্রশিল্প কারখানা, তাঁতশিল্প, পোলটি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বন্ধ হওয়ার পথে দাঁড়িয়েছে। যার সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, সাধারণ কৃষক, খামারি, তাঁতি প্রমুখ ভয়াবহ সংকটে পড়ে গেছেন। করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তারা লোডশেডিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাপে তাদের সব প্রচেষ্টা থেমে যাচ্ছে একের পর এক। এভাবে চলমান বিদ্যুৎ সংকট চরমে পৌঁছায় গোটা অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দাসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে সবাইকে নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হচ্ছে।

বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনীতিকে সচল এবং গতিশীল রাখার উদ্যোগ অনেকটা কাজ দিলেও সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সংকট তথা লোডশেডিং থমকে দিচ্ছে সবকিছুকেই। কারণ এখন বিদ্যুৎনির্ভর উৎপাদনব্যবস্থা, জনজীবনে প্রতিটি পদক্ষেপে বিদ্যুতের সার্বক্ষণিক ব্যবহার, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিদ্যুৎনির্ভরতাকে কিছুতেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তেমনি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিকে অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎপ্রাপ্তিতে সংকট ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেমে যাচ্ছে নয়তো ধীরগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। চলমান লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ছে দিনে দিনে। আগামী দিনগুলোতে সংকট আরো ঘনীভূত হলে অর্থনীতিতে স্থবিরতা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, ধারণা করা যায়। লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন, ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকের লেনদেনসহ জরুরি সেবা। এটা গোটা অর্থনীতিতে স্বাভাবিকভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমদানি করা জ্বালানিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে গত দেড় দশক সময়ে। ফলে দেশের বিদ্যুৎ খাত কার্যত আমাদানিনির্ভরতা বিদ্যুৎ খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় যখন আমদানি কমাতে হয়েছে, তখন উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। জ্বালানির জন্য দেশীয় উৎস গ্যাসের অনুসন্ধান ও গ্যাস উত্তোলনে যথাযথ মনোযোগ না দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টতই বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনার বড় ত্রুটি। মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নবিষয়ক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যানুযায়ী সরকার দেশের সব মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন হবে বিদ্যুৎ খাতের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া। আগামীতে এর প্রতিফলন দেখতে পাব বলেই আমাদের বিশ্বাস।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও কলামিস্ট

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অর্থনীতি,লোডশেডিং
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close