রায়হান আহমেদ তপাদার

  ৩১ আগস্ট, ২০২২

জ্বালানি সংকট এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা

২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে সারা বিশ্বই ছিল লকডাউনে। স্বাভাবিকভাবে তখন প্রায় সব দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। মন্দার কবলে থেকেছে বিশ্ব। সেখান থেকে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু আবারও মন্দার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। উন্নত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সবচেয়ে অব্যর্থ অর্থ প্রয়োগ করেছে। সেটা হলো, নীতি সুদহার বৃদ্ধি। কিন্তু এতে অর্থনীতির প্রাণ অর্থাৎ চাহিদাই ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করায় ওয়াল স্ট্রিট প্রায় খাদের কিনারে চলে গেছে। গত মাসে ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিরো সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘আমরা বড় ধরনের মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছি।’ ব্যাংক অব আমেরিকা অতটা নিরাশাবাদী না হলেও বলেছে, চলতি হাওয়ার মধ্যে একধরনের মন্দাভাব আছে। বড় বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর মধ্যে গোল্ডম্যান স্যাকস কিছুটা আশাবাদী হলেও পরিস্থিতি নিয়ে উৎফুল্ল নয়। তাদের ভাষ্য, শ্রমবাজারে সংকট থাকায় মন্দার যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্প্রতি নীতি সুদহার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। এমনিতেই সে দেশে এখন গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

করোনা মহামারির পর বাণিজ্য প্রবাহে ব্যাপক প্রসার ডিসটিলেট জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক সংকটে জোগান দিয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার বা মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে এ সংকট। শিল্পোৎপাদন, জাহাজীকরণ, পণ্য পরিবহন, খনিজসম্পদ উত্তোলন এমনকি কৃষিপণ্য উৎপাদনে ডিজেল ও গ্যাস অয়েলসহ ডিসটিলেট জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার পাশাপাশি এসব জ্বালানির প্রাপ্যতা কমছে। তথ্য বলছে, মহামারির প্রভাব ও বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ২০২১-২২ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা ব্যাপক গতিশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার চেয়েও বেশি চাহিদা দেখা দেয় ডিজেলসহ ডিসটিলেট জ্বালানির। ফলে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায় এসব জ্বালানির মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়। এর ফলে সৃষ্ট সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পোৎপাদনসহ অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিশোধন সক্ষমতা না বাড়ালে অর্থনীতিতে বড় আকারের মন্দা দেখা দিতে পারে।

রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ ডিসটিলেট রপ্তানিকারক। কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও বয়কটে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশটির রপ্তানি। এর ফলে ডিজেলের প্রাপ্যতা আরো কমছে। দামের ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ তীব্র আকার ধারণ করছে। এদিকে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে চীনের বিআরআই ঋণের ফাঁদ সম্পর্কে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর সতর্কবার্তা শ্রীলঙ্কায় হাম্বানটোটা বন্দরের মতো ভৌত অবকাঠামোর দখল নিতে চীনের ভূমিকার ওপর একটা তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বৈকি। আর্থিকভাবে অস্থায়ীত্বশীল অপ্রয়োজনীয় শ্রীলঙ্কার এ প্রকল্প উচ্চপর্যায়ে রাজনৈতিক ঘুষের মাধ্যমে নেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ জনরোষ ও আন্দোলনের কারণে প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। পুরো অঞ্চলেই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ভুটান ছাড়া ভারতের প্রতিবেশী সব দেশই চীনের বিআরআই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে এবং তাদের জন্য শ্রীলঙ্কার ঘটনা একটা বড় শিক্ষা বৈকী। ভারতের তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রই বর্তমানে অর্থনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক কড়াকড়ি আরোপের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমাতে আইএমএফের কাছ থেকে তারা ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশকে বেইল আউট প্যাকেজ দিয়ে সহযোগিতা করতে আইএমএফের তৎপরতা দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের স্পষ্ট ইঙ্গিত প্রদান করছে।

আইএমএফের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংকের দরজায়ও কড়া নাড়ছে। এ ছাড়া অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানসহ জাপানের মতো দাতা দেশগুলোর কাছ থেকে আরো ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তাও চেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে হ্রাস পেয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, এরপর তা আরো কমে ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিদ্যমান রিজার্ভ দিয়ে দেশটি হয়তো আগামী পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। দেশটির সরকার তাই বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার কাছে ঋণের আবেদন করছে। তাদের হাত-পা বাঁধা, সামনে বিকল্প কোনো উপায়ও নেই। তবে ঋণ প্রদানে আইএমএফের আগ্রহের অর্থ হচ্ছে, ঋণ সহায়তার বিপরীতে সংস্থাটির শর্তগুলো মেনেই অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগেই দেশটির বিরোধী দলগুলো জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটজনক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধী দলটিও সরকারকে আক্রমণের জন্য একটি শক্ত কারণ খুঁজে পেয়েছে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট শিগগিরই শেষ হবে না। বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বিরাজমান। দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাকনির্ভর। উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোয় ক্রেতা চাহিদা কমার কারণে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানির পক্ষ থেকে আসা ক্রয়াদেশ কমে গেছে। এর সঙ্গে বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ হ্রাসের ফলে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। দেশটির বার্ষিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবনমন ঘটেছে। বাজারে প্রতি ডলার ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতিও ঊর্ধ্বমুখী। যদিও রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে, আবার আমদানি ব্যয়ও অনেক বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে। এ ধরনের অর্থনৈতিক চাপ বেড়ে চলার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর বিদ্যমান। এর মধ্যে একটা ফ্যাক্টর হলো বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের দুর্বল ব্যবস্থাপনা। প্রাক্কলিত এক হিসাব অনুসারে আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের তথ্যমতে, সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি নাগরিকদের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ঋণ পরিশোধের কারণে দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চাপ বাড়ছে। বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ৯০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এরমধ্যে চীন, জাপান এবং রাশিয়া থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার। বড় কিছু অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী সতর্ক করেছে, চীন থেকে নেওয়া বিআরআই অবকাঠামো ঋণের আর্থিক সম্ভাব্যতা আরো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ খাদ্য ও জ্বালানিপণ্য আমদানি করে থাকে। দেশটির কৃষি আমদানিকৃত রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারের দাম বেড়ে গেছে, কারণ তারা উভয়ই বিশ্ববাজারে সারের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক। এদিকে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির বোঝা কমাতে বাংলাদেশের সরকার জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। অন্যান্য কঠোর ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের রেশনিং, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কমানো, সরকারি যানবাহন ক্রয় সীমিত এবং অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি চলমান মূল্যস্ফীতির আগুনের উত্তাপ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির খেতাব খুইয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বৈরী সময়ের মুখোমুখি। কোভিডের আগে ৭-৮ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দেশটি বিশ্ববাসীর বাড়তি সুনাম কুড়িয়েছিল। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। বর্তমানে তাদের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি। তবে কোভিড মহামারির আঘাত আর চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবজনিত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দেশটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। বাহ্যিক কারণ ছাড়াও দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা অর্থনৈতিক সংকটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে বহির্বিশ্ব থেকে বহুপক্ষীয় আর্থিক সহায়তা লাভের উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি চীনের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। চীনের সঙ্গে অনেক দেশের অর্থনীতির প্রত্যক্ষ যোগ আছে। ফলে চীনের অর্থনীতির গতি হারানোর কারণে অনেক দেশের পরিস্থিতির অবনতি হবে। সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা আবারও বিঘ্নিত হয়েছে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা কেবলই মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু তখনই শুরু হলো এই যুদ্ধ। ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। জ্বালানির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সবকিছুর দামই এখন বাড়তি। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২২ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিহাস থেকে যদি শিক্ষা নিতে হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতির এই ধারা থেকে এটা স্পষ্ট, বিশ্ব অর্থনীতি আবারও সংকোচনের দিকে এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যতবার মন্দা হয়েছে, তার মধ্যে একবার ছাড়া প্রতিবারই মন্দার আগে মূল্যস্ফীতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাম্প্রতিক পূর্বাভাসেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে। করোনার ধাক্কায় এমনিতেই গোটা বিশ্বের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থার মধ্যে চলছে। এর মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামকে উসকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব আরো সুদূরপ্রসারি হতে পারে। শিগগির এ যুদ্ধের দামামা বন্ধ না হলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বিশেষজ্ঞরা। একে তো যুদ্ধের ব্যয়, তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা। সব সামলাতে গিয়ে রাশিয়া মন্দার কবলে পড়তে পারে। তবে শুধু রাশিয়া নয়, সেই সীমা এখন গোটা বিশ্বে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জ্বালানি সংকট,অর্থনৈতিক অস্থিরতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close