রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৩ জুলাই, ২০২২

বৈশ্বিক ভূরাজনীতির ভারসাম্যে তুরস্ক

তুরস্ক নেটোর সদস্য দেশ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর এই সামরিক কোয়ালিশনের একমাত্র মুসলিম সদস্য হচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের সেনাবাহিনী হচ্ছে নেটো জোটের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যায়, যার স্থান যুক্তরাষ্ট্রের পরই। তার পরে তুরস্কের হাতে আছে তার নেটো মিত্রদের মতোই সামরিক প্রযুক্তি। তুরস্কে বসবাসরত স্বাধীন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আরদা মেভলুতোগলু বলছেন, আংকারার সরকার গত ২০ বছরে একটা শক্তিশালী ড্রোন বাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা তুরস্কের ভেতরে এবং বাইরে, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকের বিরুদ্ধে ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকেই নিরাপত্তা কার্যক্রমে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে। দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পকে উন্নত করার জন্য ড্রোন প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেÑ উৎপাদন ক্ষমতা এবং কার্যক্রম পরিচালনা, উভয় দিক থেকেই। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক এ অঞ্চলে এক নজিরবিহীন অবস্থানে আছে। ব্যতিক্রম শুধু ইসরায়েল। স্নায়ুযুদ্ধোত্তরকালে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্যে যে নাটকীয় পরিবর্তন শুরু হয়, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে চলতি শতকের শুরুতে। দুর্বল হয়ে পড়ে জাতিসংঘের মতো বৈশ্বিক সংগঠনগুলো।

ইরাকযুদ্ধের সময়েই পর্যবেক্ষকদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়, শান্তিপূর্ণভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ এখন আর আগের মতো কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। অন্যদিকে সামাজিক-প্রাকৃতিক নানা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে অর্থনৈতিক বিপত্তি শুরু হয় পশ্চিমা বিশ্বের। মারাত্মক আকার ধারণ করে আয়বৈষম্য। ন্যাটোর মতো কৌশলগত জোটগুলো স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের তাৎপর্য হারিয়ে ফেলে। ফলে এ ধরনের প্রথাগত জোটগুলো একের পর এক ভাঙতে থাকে। স্বার্থের সংঘাত দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে। এর বিপরীতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মহাশক্তিধর হয়ে ওঠে চীন। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন রাশিয়ার প্রভাবকে খর্ব করলেও সামরিক-পারমাণবিক শক্তি হিসেবে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে গুরুত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয় দেশটি।

ইউরোপ মহাদেশে হঠাৎ করেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইসলামোফোবিয়া ও বর্ণবাদ। ভূমধ্যসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যের দিকে হেলে পড়ে শক্তির ভারদণ্ড। এতে লাভবান হয় তুরস্কের মতো ভূমধ্যসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রভাবশালী দেশগুলো। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের দিকে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর বিশ্বব্যবস্থায় একমেরু বিশ্বব্যবস্থার উত্থান ঘটে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ক্রমেই একমেরু বিশ্বব্যবস্থায় চিড় ধরতে থাকে এবং নতুন নতুন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তির উদ্ভব ঘটে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা ক্ষমতার বহুপাক্ষিকতার ও বহুমুখী ভারসাম্যের দিকে পরিচালিত হয়। প্রথাগত শক্তিগুলো দুর্বল হওয়ায় ক্রমবর্ধমানভাবে চীন ও রাশিয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বসভায় সামনের সারিতে উঠে আসে এবং পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক কোনো-কোনো রাষ্ট্র শক্তিমান হয়ে উঠতে থাকে। এগুলোর মধ্যে ভারত, তুরস্ক, ইরান, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের নাম উল্লেখ করা যায়। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্যবাদী ক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

তুরস্কের আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উত্থানকে বিশেষজ্ঞরা নানাভাবে মূল্যায়ন করেছেন এবং সত্যিকার অর্থে দেশটি আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় একটি শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে কি না তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা বিশেষজ্ঞ মহলের প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতু হিসেবে পরিচিতÑ তুরস্ক দেশটি ধীরে-ধীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হয়ে আত্মপ্রকাশের জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিশ্বব্যবস্থায় উদীয়মান প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে নিজের স্থান করে নেওয়ার জন্য অব্যাহত চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা দেশটির এ পর্যন্ত নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ থেকে অনুমিত হচ্ছে।

তুরস্কের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, এর রয়েছে বর্ণময় ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস। তুরস্কের অতীত ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কারণ দেশটি ওসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করে চলেছে এবং দেশটি ভূ-কৌশলগতভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক স্থানে অবস্থিত, যা আঞ্চলিক এবং বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার জন্য সহায়ক বলে মনে করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তুরস্কের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ মিলিয়ন, যা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র এবং ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা বিচারে তুরস্কের স্থান দ্বিতীয়। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য পণ্য ও পরিষেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদক ও ভোক্তা হয়ে উঠেছে, যা এ অঞ্চলের জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে। তুরস্ককে একটি বিকাশমান নতুন শিল্পোন্নত, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং উদীয়মান বাজার অর্থনীতির দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তুরস্ক ওইসিডি, এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন-জি২০, এর সদস্য এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র। তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্বব্যাপী শক্তির অক্ষের সংযোগস্থলে হওয়ায় দেশটিকে ঈর্ষণীয় সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ-উভয় সুবিধাই প্রদান করেছে। তুরস্কের দক্ষিণে-পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্বে ইউরোপ, এর মধ্যে তুরস্কের অবস্থান। বসফরাস প্রণালির পশ্চিমের ভূমি ইউরোপীয় ভূগোলের অংশ।

তুরস্ক-জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ার মধ্যে কৃষ্ণ সাগর এবং সিরিয়া ও গ্রিসের মধ্যে এজিয়ান সাগর এবং ভূমধ্যসাগরের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। তুরস্কের এই ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে বসফরাস ও দার্দানেলিশ প্রণালির কৌশলগত অঞ্চলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার সুযোগ দিয়েছে, যা দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও ভূ-কৌশলগত রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে পরিগণিত করেছে। তুরস্কের অবস্থানগত কারণে এটিকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, মতাদর্শ এবং প্রতিযোগী স্বার্থের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় শাসনের পরিবেশের অধীন করেছে। তুরস্কের এই ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্লেষণে দেখা যায়, তুরস্ক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতুলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছে, যার ফলে দেশটি এশিয়া ও ইউরোপ-উভয় মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে এবং তার এ অবস্থান দেশটির শক্তির উত্থানের জন্য মূল কারণ হয়ে উঠেছে।

ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। আর বিশ্বের শক্তিশালী মিলিটারি দেশগুলোর মধ্যে তার অবস্থান দশম। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সেনা সংখ্যায় প্রথম। নিজ সীমান্তের বাইরে কাতার ও সোমালিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্ক বিশ্বের সামরিক শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শক্তি। তবে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র না থাকাকে একটি ঘাটতি হিসেবে দেখেছেন বিশ্লেষকরা। তুরস্ক তার লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য একটি জাতি রাষ্ট্রের কাঠামোর দ্বারা সমর্থিত একটি ভারসাম্যমূলক বহুপক্ষীয় এবং বহুমাত্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে এবং ন্যাটোসহ পশ্চিমের প্রায় সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়েও রাশিয়া, ইরান, চীন, আফ্রিকা, এশিয়া, বলকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে একত্রে কাজ করছে।

স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির আলোকে আঞ্চলিক সম্পর্কের পুনর্গঠনের কারণে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং বলকানে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে উঠেছে তুরস্ক। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞ প্রফেসর হোসাইন বাগসি বলেন, তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির কারণে তুরস্ক একটি প্রভাবশালী আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক শক্তি। তুরস্ক এরই মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সংকটে সরাসরি অথবা মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সিরিয়া সংকট, নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ, লিবিয়া, উত্তর ইরাকে আন্তসীমান্ত অভিযান ইত্যাদি সব সংকটে এবং সর্বোপরি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে এবং ন্যাটোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে তুরস্কের। সবদিক বিবেচনায় তুরস্ক একটি বিকাশমান শক্তি হতে চলেছে, তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সুপারপাওয়ার হওয়ার জন্য যেসব উপাদান থাকা দরকার, তাতে অবশ্যই ঘাটতি আছে প্রচুর। কিন্তু এটি বলা সংগত হবে যে তুরস্ক-মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, ককেশাস এবং বলকান অঞ্চলের অন্যতম প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

আঞ্চলিক পর্যায়ে তুরস্কের উত্থান আর ইউরোপ মহাদেশীয় শক্তিগুলোর অবক্ষয়Ñ দুটিই একত্রে ঘটেছে। মার্কিন সমাজতাত্ত্বিক ইম্মানুয়েল ওয়ালারস্টেইনের বিশ্লেষণ বলছে, নানামুখী সংকট ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলোকে আর্থিক, প্রশাসনিক, গণমাধ্যম ও প্রযুক্তির অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছে। ইইউর স্থবিরতায় বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্য শেষ পর্যন্ত মহাদেশীয় জোটটি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর বিপরীতে একই সময়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে তুরস্কের প্রভাব আরো বেড়েছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ সামাজিক কাঠামো, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মোকাবিলার সক্ষমতা, সামরিক শক্তি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উত্তরাধিকার এবং কূটনৈতিক গভীরতাকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে নিজেকে দিন দিন আরো শক্তিশালী হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। অন্যদিকে ভাষ্যকারদের মতে, দেশগুলোর এ জোটবদ্ধতা আদতে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক গুরুত্বেরই স্বীকৃতি। এ ছাড়া এক দশকের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতাকেও অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে দেশটি। চলমান করোনা মহামারিকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যেসব দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামনের সারিতে উঠে এসেছে তার অন্যতম হলো তুরস্ক। উন্নত দেশগুলোর জোট জি২০-এর সদস্য তুরস্ক মহামারিকালে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেক ভালো করেছে।

মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান বলছে, ২০২০ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে এ সময় দেশটির শিল্পোৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, যা জি-২০ ভুক্ত অন্যসব দেশের চেয়ে বেশি। তুরস্কের বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকুÑ এমন প্রশ্ন আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোচনায় আছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু এ প্রশ্নের সিদ্ধান্তমূলক কোনো জবাব নেই। ভিন্ন ভিন্ন মতামত আছে বিশেষজ্ঞদের। তবে সময়ই বলে দেবে কোনদিকে এগোচ্ছে তুরস্কের আন্তর্জাতিক শক্তি।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বৈশ্বিক,ভূরাজনীতি,ভারসাম্য,তুরস্ক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close