মাওলানা মাসউদুল কাদির

  ০৬ মে, ২০২১

কোরআনের তেলাওয়াত হৃদয়ের মরিচা দূর করে

কোরআনের প্রেমে হৃদয়বিগলিত হয়েছিলেন মক্কার বেদ্বীনরাও। সত্য ও সুন্দরের পথ দেখিয়েছে এই কোরআন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অবতীর্ণ হওয়া এই কোরআনই সবচেয়ে বড় দাওয়াতের হাতিয়ার। রমজানেই কোরআন নাজিল হয়েছে। কোরআন তেলাওয়াতেও বেশি সওয়াব। আল্লাহতায়ালা বান্দার এই তেলাওয়াতের ফজিলত বহু গুণে বাড়িয়ে দেন। তিরমিজি শরিফে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি অক্ষর পড়ে, সে ১০টি পুণ্য পায়।’

হৃদয়ের মরিচা দূর হয় কোরআনের তেলাওয়াতে। এক হাদিসে নবীজি বলেন, ‘লোহায় পানি লাগলে যেমন জং ধরে, তেমনি (পাপের কারণে) হৃদয়ে জং পড়ে।’ নবীজির কাছে একজন সাহাবি জানতে চাইলেন, ‘হুজুর, হৃদয়ের এই জং দূর করার উপায় কী?’ তিনি বলেন, ‘(উপায় দুটি) ১. মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। ২. কোরআনুম মাজিদের তেলাওয়াত।

কোরআনের এই তেলাওয়াত এত গুরুত্বপূর্ণ যে, জিবরাইল আলাইহিস সালাম নবীজির সঙ্গে কোরআনের দাওর (একজন অন্যজনকে শোনাতেন) দিতেন।

আবু সুফিয়ান সাওরি (রহ.) সম্পর্কে এ রকম একটি কথা প্রসিদ্ধ আছে, ‘তিনি রমজানে কোনো নফল আমলই করতেন না। একমাত্র দিনে-রাতে কোরআন তেলাওয়াত করতেন।’

পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত নামাজের মাধ্যমেও মোমিনরা করে থাকেন। বিশেষত তারাবি ও কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে কোরআনের খতম হয়ে থাকে। কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কিয়ামুল লাইল (রাতের নামাজ) আদাই করে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (বোখারি ও মুসলিম)

কোরআন তেলাওয়াত মানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলা। নামাজে দাঁড়িয়ে থেকে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য কয়জনের হয়ে থাকে। শেষ দশকে তারাবির সঙ্গে সঙ্গে কিয়ামুল লাইলে কোরআন খতমের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে প্রত্যেক মোমিনই। এখন বিশেষত শহরের মসজিদগুলোতে কিয়ামুল লাইলের ব্যবস্থা থাকে। আর যিনি এতেকাফ করেন, তার তো কোরআন খতমের এই অনুষ্ঠানে নিজেকে নিয়োজিত করা আরো সহজতর হয়ে যায়। আল্লাহতায়ালা শেষ দশকের কিয়ামুল লাইলের আমলেও সংযুক্ত হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

লেখক : সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক [email protected]

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কোরআনের তেলাওয়াত,রমজান,রোজা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close