সম্পাদকীয়

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল

একটি নাম আজ আর নামের বৃত্তে আটকে নেই। প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্ব মানচিত্রেও প্রতিষ্ঠানটি সুগন্ধ ছড়িয়েছে। দেশকে মর্যাদাবান করেছে। আমরা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার কথা বলছি। সফল প্রধানমন্ত্রীর কথা বলছি। যাকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষ এখন অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ভাবতে শিখেছে। অর্থনৈতিক মুক্তির কাফেলায় চলতে শিখেছে। একসময় যে বাংলাদেশকে বিদ্রপ করে বলা হতো ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আজ সেই বাংলাদেশ অনেকের ঈর্শার কারণ। ক্ষেত্রবিশেষ রোল মডেল।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি স্বধীন রাষ্ট্র, প্রতিটি নাগরিকের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং একটি শোষণহীন সমাজব্যবস্থা। তিনি আমাদের রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। দিয়ে যেতে পারেননি স্বপ্নের বাকি অংশ। সেই অংশ পূরণের জন্য নিয়তিই তাকে এনে বসিয়েছে দেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে। আমরা তাকে পেয়েছি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আজ তিনি জননেত্রী। জননেত্রী শব্দটি একটি বিশেষণ। এই বিশেষণটি কারো জন্য বরাদ্দ থাকে না। অর্জন করতে হয়। শেখ হাসিনা তার মেধা, শ্রম আর অনুশীলনের মধ্য দিয়েই অর্জন করেছেন। অর্জন করেছেন অগণিত মানুষের ভালোবাসা। যে ভালোবাসা তাকে আজ এক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। গত সোমবার ছিল তার ৭৪তম জন্মদিন। সার্থক জনম তোমার ‘হে মহীয়সী’।

বহু গুণের এক বিরল সমন্বয়ে গড়া একজন মানুষ। যিনি তার দীর্ঘ কর্মময় রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় সংগ্রাম করেছেন এ দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তার দৃঢ়চেতা মানসিকতা বাংলাদেশের মেরুদ-কে কতটা দৃঢ় করেছে, পদ্মা সেতুই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিদেশি সহায়তা এবং করোনার মুখাপেক্ষী না হয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করে তিনি বিশ্বকে যে বার্তা দিয়েছেন, তা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা দেশকে পেছন থেকে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, তাদের সে চেষ্টা কখনোই সফল হবে না। বানের জলের সঙ্গে খরকুটো যেভাবে ভেসে যায়, তাদের সব প্রচেষ্টা সেভাবেই হারিয়ে যাবে। উন্নয়নের যে ঢল নেমেছে, তাকে রোখার ক্ষমতা বোধকরি কোনো অপশক্তির নেই। উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এক শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে।

আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথেই চলছে বাংলাদেশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। আর স্বপ্নের সেই দেশে পৌঁছাতে লাগবে ২০ বছর। ২০৪১ সালে পাব উন্নত দেশের মর্যাদা। এটি আমাদের স্বপ্ন। যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কেবল উন্নয়নের কারিগরই নন, স্বপ্ন তৈরির কারিগরও বটে। এ দেশের মানুষ এখন স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। স্বপ্নকে বাস্তব করতে শিখেছে। শিখিয়েছেন সেই স্বপ্নের কারিগর। যিনি নিজে স্বপ্ন দেখতে এবং অন্যকে দেখাতে ভালোবাসেন। আর জাতি যখন স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে শিখেছে, তখন তাকে আর দাবায়ে রাখার ক্ষমতা কারো নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ স্বপ্নের বৃত্ত পেরিয়ে বাস্তবতার উঠোনে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সম্পাদকীয়,ভরসা,আশ্রয়,আওয়ামী লীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close