মোহাম্মদ আবু নোমান

  ০৪ জুলাই, ২০২০

ভাঙল বয়স ও সনদের বাধার প্রাচীর

বিশ্বের যত উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে তারা কিন্তু গতানুগতিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে, কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব ও এর উপর ভিত্তি করেই উন্নত ও উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নির্ভরতা নিঃসন্দেহে ব্যাপক আকারে বাড়বে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কারিগরি দক্ষতাই বড় ভূমিকা রাখবে। আগামীর পৃথিবী হবে প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবর্তনমুখী। তাই প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কারিগরি জ্ঞানার্জনের যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই ভালো থাকবে। আগামীর পৃথিবীতে নিজের অবস্থান টেকসই করার লক্ষ্যে, যেসব শিক্ষার্থীর সাধারণ শিক্ষায় ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তাদেরও নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ভর্তিতে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকছে না পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকছে না। ভর্তির যোগ্যতা কমছে, কমছে ভর্তি ফি-ও। সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি ও বিদেশফেরত দক্ষ কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকমের বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখা হবে না। অনেক ব্যক্তির হয়তো প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা আছে কিন্তু তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ নেই এবং তা না থাকার কারণে ভালো চাকরি পাচ্ছেন না বা পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যদি চান এবং তার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে তিনি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এমনকি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৩ দশমিক ৫ হতে কমিয়ে ২ দশমিক ৫ এবং মেয়েদের ২ দশমিক ২৫ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি ফি ১ হাজার ৮২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৯০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা সরকারের সময়োপযোগী ভালো সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। দেশের বিশাল সংখ্যক কর্মমুখী জনশক্তিকে বাজারের চাহিদার আলোকে শিক্ষায় শিক্ষিত করা, ভাষাগত এবং কারিগরি দক্ষতা দ্বারা যদি একটি দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায়, তবেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের ও উন্নত দেশে রুপান্তর করা সম্ভব।

ভালো-মন্দ দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তে ভালো-মন্দ দু’ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন এটা সময়ের সেরা উদ্যোগ। কেবল একটি কাগজের সনদের অভাবে একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান এতদিন তার দক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন পেতেন না। কারণ, তার ডিপ্লোমা সনদ নেই এবং তা গ্রহণেরও বয়স পার হয়ে গেছে। সনদপ্রাপ্তিতে এখন তার বাধার প্রাচীর ভাঙ্গল। কেউ কেউ বলছেন ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও জিপিএ কমানোয় কারিগরি শিক্ষা আমজনতার মানহীন শিক্ষা ব্যবস্থায় রুপান্তর হবে। একথা ঠিক, যারা বয়স্ক তারা নিজেরাও জানেন তাদের চাকরির বয়স নেই। কিন্তু তারা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করতে পারবেন। অনেকে আছেন যারা বাস্তব শিক্ষা লাভ করে টেকনিক্যাল কাজ করছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারলে তিনি তার অবস্থান আরো উন্নত করতে পারবেন। বিশ্বের বেশির ভাগ উন্নত দেশেই কেবল ডিপ্লোমাই নয়, যে কোনো বিষয়ে যে কেউ যে কোনো বয়সে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তার একাডেমিক শিক্ষার পরিধি বাড়াতে পারেন। আমরা আশা করছি পলিটেকনিক শিক্ষায় এ বাধার প্রাচীর তুলে দেয়ার সুফল মিলবে। তবে বর্তমানে দেশের পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থার মান আশানুরূপ নয়। মানসম্মত শিক্ষক সঙ্কট, ক্লাস সঙ্কট, যন্ত্রপাতি ও ল্যাব সঙ্কট, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সঙ্কট, দ্বিতীয় শিফট নিয়ে সমস্যা এমন বিবিধ সঙ্কটে জর্জরিত। তবে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও জিপিএ কমানোয় প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও পড়ালেখার মান কোনোভাবেই যেন নীচে নেমে না আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থা বাজার চাহিদার আলোকে নয় যুগের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া বর্তমানে চালু সিলেবাসগুলোকে যুগের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকীকরণ ও সংশোধন করা জরুরি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নত দেশ ও ডিজিটাল ডিজিটাল বলে গলা ফাটাই। অথচ একটি সেলাইয়ের সুই, ব্লেড, চাকু থেকে সবরকম খেলনা ও প্রশাধনী ক্রয়ে বিদেশের উপর নির্ভরশীল। ইলেকট্রনিক্স ও ম্যাসিনারিজ পণ্য বলতে আমরা ভারত, চীন, কোরিয়া ও মালয়েশিয়াকেই বুঝি। আমাদের বাজারও তাদের দখলে। কারণ তারা তত্ত্বগত শিক্ষার চেয়ে ব্যবহারিক ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার ক্ষেত্রকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাজার চাহিদার আলোকে নয়। যার ফলে কিছু সেক্টর তৈরি হচ্ছে লাখ-লাখ শিক্ষিত বেকার ও কিছু সেক্টর দক্ষ জনবলের অভাবে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন, নির্ভর করতে হচ্ছে বিদেশি পণ্য ও জনবলের ওপর। আমাদের শিল্প-কারখানা, গার্মেন্ট সেক্টর থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বাইরের এক্সপার্টদের দিয়ে দিতে হয়। এখানে যদি আমাদের দেশের লোক কাজ করতে পারত তাহলে দেশের টাকা দেশেই রাখা সম্ভব হতো। কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। এ ছাড়া বিএম, ভোকেশনাল, কৃষি ডিপ্লোমা রয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা এসব কোর্স করছে, তাদের সহজেই কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে কিছুটা ফারাক থাকলেও তাদের বেকার থাকতে হচ্ছে না।

বেশির ভাগেই রয়েছে মানের ঘাটতি দেশে স্বল্পসংখ্যক সরকারি, বেসরকারি পলিটেকনিক ছাড়া বেশির ভাগেই মানের ঘাটতি রয়েছে। রয়েছে ল্যাবরেটরি, ওয়ার্কশপ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব। হাতে কলমে আর যন্ত্রের মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকাসহ সরাসরি ব্যবহারিক কাজে অংশগ্রহণের সুবিধা নেই। কারিগরি শিক্ষায় সকলস্তরে আরো ব্যবহারিক বাস্তব জ্ঞান শিখনের ব্যবস্থা করা জরুরি। উপজেলা এমনকি জেলা পর্যায়ের কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ল্যাবের ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল। উচ্চ কারিগরি জনশক্তি তৈরি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে এই খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা সরকারকেই করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, মান উন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর লিংকেজ তৈরিসহ হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও ব্যবহারিকে সুযোগ দেয়া।

কারিগরি শিক্ষায় নেতিবাচক মনোভাব কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা কারিগরি শিক্ষায় যাচ্ছে না। এখনও কারিগরি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র। সামাজিকভাবে এ পড়াশুনাকে মূল্যায়ন করা হয়না বলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে আসতে চাননা। গবেষকরা বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার প্রতি সমাজের অনেকেরই এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব আছে। সামাজিকভাবে ধরে নেয়া হয় যারা পড়াশুনায় ভালো নয় তারা টেকনিক্যাল এডুকেশনে আসবে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি সামাজিক মনোভাব বদলালে আরো অনেকে কারিগরিতে আসতে উৎসাহিত হবে। এখনকার ছেলেদের লক্ষ বাংলা, ইংরেজি শিখবো, প্রশাসনে চাকরি নিব। অথচ চাকরির বাজারে এ শিক্ষা ও সনদের কতটুকু চাহিদা তার পরিসংখ্যান রাষ্ট্রীয়ভাবেও দেশে নেই। আমাদের কতজন শিক্ষিত হচ্ছে আর কতজন চাকরি পাচ্ছে তা জানা দরকার। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়। স্থানীয়ভাবে সুপারিশের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে অগ্রাধিকার পায়। কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।

শিক্ষা হবে কর্মমুখী-জীবনমুখী বাস্তবিক শিক্ষা ও শেখার বয়সের বাধা থাকা উচিত নয়। শিক্ষা, মেধা, জ্ঞান অর্জন ও তা প্রয়োগে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকারি চাকরি পেতে বয়সে কোনো বাধা নেই। বর্তমান যুগে শিক্ষা হতে হবে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কর্মমুখী ও জীবনমুখী শিক্ষা। যে শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগে না, সে শিক্ষা কাজে আসবে না। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। তাদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। তা ছাড়া বৈদেশিক কর্মসংস্থানেও দক্ষ জনবলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাকে অর্থবহ করার জন্য কারিগরি শিক্ষার আরও সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। সরকারি, বেসরকারিতে চাকুরি না পেয়ে, বা না করেও কারিগরি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের প্রযুক্তি জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা শুরু করা যায়। পুরকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস কৌশল, যন্ত্রকৌশল, অটোমোবাইল, ফুড, এনভায়রনমেন্টাল, কেমিক্যাল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, স্থাপত্য, টেলিযোগাযোগ, প্রতিষ্ঠানভেদে এমন নানা বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হয়ে পরবর্তী সময়ে চাইলে স্নাতক ডিগ্রিও অর্জন করা যায়।

বিএসসি ডিগ্রি যেন সোনার হরিণ ২০০৯ সালে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ। বর্তমানে তা প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলতি ২০২০ সালের মধ্যে একে ২০ শতাংশ ২০৩০-এ ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার কারিগরি ডিপ্লোমাধারী লাখ লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার কোন সুযোগই নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বপ্নের ডিগ্রি হলো বিএসসি ডিগ্রি যা অর্জন যেন সোনার হরিণ। এর জন্য রয়েছে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান ডুয়েট। যেখানে সকল ডিপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে মাত্র ৫৪০টি আসন। এতেই স্পষ্টত বোঝা যায় ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করা কতটা কঠিন। যারা দেশকে ডিজিটাল করবে, তাদেরই পড়ার জায়গা নেই। সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, কিংবা দরিদ্র কৃষকের সন্তানকে কোনক্রমেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। এ জন্য ডিপ্লোমাধারীদের জন্য ডুয়েটের মতো নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা এখনই জরুরি।

একই সঙ্গে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শিখানোর দিকেও বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। এ জন্য কারিকুলাম এমনভাবে সাজানো উচিত, যাতে তারা ইংরেজিতেও দক্ষ হয়ে ওঠে। কারণ, দেশের বাইরে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করতে হলে ইংরেজি শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব সমস্যার সমাধান না করে কেবল বয়স ও জিপিএর সীমাবদ্ধতা তুলে দিলেই কাঙ্খিত উদ্দেশ্য অর্জন হবে না। তাই গুনগত মান উন্নয়নের পদক্ষেপে সাথে সার্টিফিকেট বিক্রি থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেড়িয়ে আসতে হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কারিগরি,বয়স,সনদ,মুক্তমত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close