reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

ক্যান্সার নির্ণয়ে নতুন যুগের সূচনা

ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালে সাইটোজেনেটিকস ও মলিকুলার জেনেটিকস উদ্বোধন

ক্যান্সারের ডায়াগনোসিসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার সাইটোজেনেটিকস ও মলিকুলার জেনেটিকসের উদ্বোধন করেছে। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি দুটি ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং রোগীদের সঠিক ও নির্ভুল ফলাফল দেবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম।

তিনি বলেন, এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় আরো উন্নত সেবা দিতে সক্ষম হব। আমাদের লক্ষ্য হলো রোগীদের উন্নত সেবা ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করা এবং সাইটোজেনেটিকস ও মলিকুলার জেনেটিকসের উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ল্যাব ডিরেক্টর অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মো. মহিবুর রহমান। তিনি একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের অনকোলজিস্ট, সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট এবং হেমাটোলজিস্টরা। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন প্যাথলজিস্ট অধ্যাপক ডা. রুকসানা জেবা এবং অধ্যাপক ডা. নাসিমা আক্তার।

তারা এই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসপাতালটির হেড অব বিজনেস মো. মেশকাতুল মনোয়ার। সাইটোজেনেটিকস ও মলিকুলার জেনেটিকস হলো দুটি অত্যাধুনিক পরীক্ষার পদ্ধতি যা ক্রোমোজোমের সংখ্যা ও গঠন বিশ্লেষণ করে ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিল রোগ নির্ণয় করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর জিনগত অবস্থা বিশ্লেষণ করা সম্ভব, যা চিকিৎসকদের রোগের প্রকৃতি নির্ধারণ, এবং রোগীর প্রগনোসিস সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পেতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।

বিশেষ করে, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনগত পরিবর্তন ঘটে থাকে। সাইটোজেনেটিকসের মাধ্যমে ক্রোমোজোমের যেকোনো অস্বাভাবিকতা যেমন ট্রান্সলোকেশন, ডিলিশন বা ডুপ্লিকেশন সনাক্ত করা যায়, যা ক্যান্সারের ধরন সনাক্তে বেশ সহায়ক।

অন্যদিকে, মলিকুলার জেনেটিকসের মাধ্যমে রোগীর ডিএনএ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন নির্ধারণ করা সম্ভব, যা নির্দিষ্ট ক্যান্সার সনাক্ত ও নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন, সাইটোজেনেটিকস ও মলিকুলার জেনেটিকস পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের নির্দিষ্ট জেনেটিক প্রোফাইল তৈরি করা যায়, যা ক্যান্সারের নির্দিষ্ট ধরন ও তার চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার প্রতিটি ধাপ অনেক বেশি কার্যকরী ও রোগীর জন্য নিরাপদ হয়ে ওঠে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close