নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ডায়াবেটিস দিবস
ডায়াবেটিস বাড়ছে কায়িক পরিশ্রমের ঘাটতিতে
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪৬ কোটিরও বেশি। কায়িক পরিশ্রমের ঘাটতি আর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এই সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে চলছে।
ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ উপলক্ষে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৭০ লাখে।
ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি বহুমূত্র রোগ। দেহে ইনসুলিন নামক হরমোনের ঘাটতির কারণে রক্তে বেড়ে যায় গ্লুকোজের মাত্রা। একসময় প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে গ্লুকোজ। দেহে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের বিপাকজনিত এ গোলযোগ অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিসকে মধুমেহ রোগও বলা হয়। (ধাপ-১) এই ধরনের রোগীদের ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। যার কারণে সারাজীবন তাদের ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। এই শ্রেণির রোগীকে ইনসুলিননির্ভর রোগী বলা হয়। তবে বাংলাদেশে ধাপ-১ রোগীর সংখ্যা খুবই কম। (ধাপ-২) : এ ধরনের রোগীর দেহে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা পর্যাপ্ত থাকে না কিংবা যতটুকু উৎপাদন হয়, তা দেহের জন্য যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস : অনেক সময় সন্তান গর্ভে এলে মায়েদের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। আবার সন্তান প্রসবের পর ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যায়।
অন্যান্য কারণ : অগ্ন্যাশয়ে বিভিন্ন রোগ, হরমোনের আধিক্য, সংক্রামক ব্যাধি এবং জেনেটিক কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো হলো : ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, তেষ্টা পাওয়া, নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন খিদা, প্রচণ্ড পরিশ্রান্ত অনুভব করা, চোখে ঝাপসা দেখা, শরীরের বিভিন্ন অংশের কাটাছেঁড়া সহজে না সাড়া।
কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া, প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া। হাতে-পায়ে ব্যথা বা মাঝেমধ্যে অবশ হয়ে যাওয়া। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো সব সময় নাও থাকতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় তাই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও জটিলতা প্রতিরোধের অন্যতম পূর্বশর্ত। তাই জেনে নিন ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ না থাকলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।